কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: করোনার দাপট গোটা বিশ্বেই কিছুটা কমেছে। এর অন্যতম কারণ হল ভ্যাকসিন। অধিকাংশ দেশই কোভিড ভ্যাকসিনেশন প্রায় শেষ করে ফেলেছে। তবে কোভিড আতঙ্ক কমলেও নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। বিশ্বের ১১০টির বেশি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে পড়েছে। অনেক দেশই মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন পন্থা নিয়েছে। পর্যটকদেরও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এনেছে কানাডা। লাগোয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার ভ্যাকসিনের আকাল।
এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা ভ্যাকসিন নিতে ভিড় জমাচ্ছেন কানাডায়। অন্যদেশের পর্যটকরাও একই কারণে কানাডামুখী হচ্ছেন। এর ফলে কানাডায় পর্যটকদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। মন্ট্রিলে ইতিমধ্যেই ১৮ হাজা৪ ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩ শতাংশ বিদেশি। সেখানে ২৫ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত। তাঁদেরকেই প্রথম ধাপে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। ১১ অগস্ট পর্যন্ত কানাডায় মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ১০৫৯।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১১৪টি দেশে ৩৫ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্স কেস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মে-র শেষ থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৫৩৩। এছাড়াও ৬২৯২ জন সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স রোগীকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এ পর্যন্ত ১১৪ জন মাঙ্কিপক্স রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে কঙ্গোর ৯৬ জন, নাইজেরিয়ার ৪ জন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ২ জন, স্পেনের ২ জন, ব্রাজিলের ১ জন, ঘানার ১ জন, ভারতের ১ জন ও পেরুর ১ জন রয়েছেন।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷