অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দিলেন বাইচুং ভুটীয়া, কল্যাণ চৌবে, ভালাঙ্কা আলেমাও, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, ইউজেনসেন লিংডো এবং সাজি প্রভাকরণ। এদের মধ্যে বাইচুং মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন বিশিষ্ঠ ফুটবলারদের কোটায়। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন দী্পক মণ্ডল, সমর্থন করেছেন প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার মধু কুমারী। বাইচুংয়ের মতোই ভারতের হয়ে খেলা গোলকিপার কল্যাণ চৌবে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেছে গুজরাত ফুটবল সংস্থা ্আর সমর্থন করেছে অরুণাচল ফুটবল সংস্থা। আই এফ এ-র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছেন রাজ্য ফুটবল সংস্থার সমর্থনে। সাজি প্রভাকরণ হয়েছেন দিল্লি ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি। আর চার্চিল ব্রাদার্সের কর্ণধার চার্চিল আলেমাওয়ের কন্যা ভালাঙ্কা দাঁড়িয়েছেন গোয়া ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে। আর মেঘালয় ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার এবং বিধায়ক ইউজেনসেন লিংডো।
তবে মনোনয়ন পত্র জমা করলেও বাইচুং নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকছে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দাঁড়িয়েছেন বিশিষ্ঠ ফুটবলারের কোটায়। কিন্তু ফিফা এই কোটা সমর্থন করে না। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স সুপারিশ করেছেন কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে ৩৬জন প্রাক্তন ফুটবলারের কথা। এদের মধ্যে ২৪জন পুরুষ ফুটবলার আর ১২জন মহিলা ফুটবলার। কিন্তু ফিফা এ সব চায় না। এখন সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে শুনানি আছে সোমবার। সুপ্রিম কোর্ট যদি কমিটির সুপারিশ মেনে চলে তাহলে বাইচুংয়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অসুবিধা নেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যদি ফিফা পন্থী হয় তাহলে বাইচুংয়ের নির্বাচনে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তবে বাইচুং দাঁড়ালেও নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে ফেভারিট কল্যাণ চৌবে। মোহনবাগানের প্রয়াত সচিব অঞ্জন মিত্রের জামাই কল্যাণ কলকাতার তিন প্রধানেই খেলেছেন। দেশের হয়েও খেলেছেন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির এই প্রাক্তনী। তাঁর মনোনয়নের প্রস্তাবক গুজরাত যা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের রাজ্য। কল্যাণ নিজেও বিজেপির সদস্য। নির্বাচনে বিজেপির হয়ে লড়েছেন লোক সভা এবং বিধান সভায়। তাঁর সমর্থক অরুণাচল প্রদেশ যা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী করণ রিজুজু-র রাজ্য। বোঝাই যায় কল্যাণ বকলমে বিজেপির প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত বাইচুং যদি নির্বাচনে না দাঁড়াতে পারেন তাহলে কল্যাণই জেতার ব্যাপারে ফেভারিট। তবে বাইচুং দাঁড়ালে কিন্তু অঙ্ক অন্যরকম। কারণ ৩৬জন ফুটবলারের সমর্থন তাঁর দিকেই থাকবে। সব মিলিয়ে এখন এই নির্বাচনের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে সু্প্রিম কোর্টের দিকে।
ভালেঙ্কা চার্চিল শুধু প্রেসিডেন্ট পদেই নয় কোষাধ্যক্ষ এবং কার্যকরী কমিটির পদেও দাঁড়িয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে দাঁড়িয়েছেন কর্নাটকের এন এ হ্যারিস। কর্মসমিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ইমতিয়াজ হোসেন এবং গোপালকৃষ্ণ কোসারাজু। ফেডারেশনের নির্বাচনে মোট বারোটি পদে নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষ এবং কার্যকরী সমিতির দশটি পদ। নির্বাচন ২৮ আগস্ট। ভোট গণণা সেদিনই। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে বাইচুং ভুটিয়ার মনোনয়ন বৈধ কি না তা নির্দ্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্টই।