গণেশ চতুর্থী। গতকাল বুধবার থেকে দেশব্যাপী মহাসমারোহে শুরু হয়েছে গণেশ উৎসব। গণেশ সিদ্ধিদাতা। বৈভব অর্জনের সাফল্য কামনায় গণেশের আরাধনা করে হিন্দুরা। কিন্তু এবার সেখানেও জি এস টির কোপ। ফলে, গণেশ উৎসব ঘিরে যাদের জীবন জীবিকা তাদের মুখ আজ ম্লান।
গত দুই বছর কোভিড অতিমারীর প্রকোপে অন্যান্য পার্বনের মতো গণেশ পুজো ঘিরে যে উৎসব, উন্মাদনায় ভাটা পড়ার পর এবার খানিক মুক্তির স্বাদ পেতেই মেতে উঠেছে গোটা দেশ। মূলত, মহারাষ্ট্রে গণেশ পুজো উৎসবের মেজাজে শুরু হলেও এর জনপ্রিয়তা এখন উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে। হালে বাংলতেও গণেশ পুজোর চল বেড়ে চলেছে। বাংলায় গনেশসহ যাবতীয় পুজোর প্রতিমা মাটি দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু বাংলার বাইরে মাটির বিকল্প প্লাস্টার অফ প্যারিস ব্যবহার হয়ে থাকে। এবার সেই প্লাস্টার অফ প্যারিসের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুধু প্লাস্টার অফ প্যারিস নয়, মূর্তির রঙের উপরেও চড়েছে ১৮ শতাংশ জি এস টি। এছাড়া পরিবহন খরচসহ আনুষঙ্গিক সব জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। ফলত, সিদ্ধিদাতার মুর্তিরও দাম চড়েছে। বা মূর্তির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন নির্মাতারা। ভিনরাজ্যের অনেক মূর্তি কারিগর সারাবছর গণেশ উৎসবের অপেক্ষায় থাকে। তাদের সংবৎসরের উপার্জনের একটা বড় অংশ আসে গণেশ মূর্তি বেঁচে। এবার মূর্তি তৈরির কাঁচা মালে উঁচু হারে জি এস টি বসায় বিপদে পড়েছে এই প্রান্তিক মানুষজন।
গণেশ পুজোর সময় কিছু বাড়তি রোজগারের আশায় গত দু বছর জল ঢেলে দিয়েছিল কোভিড অতিমারী। স্বভাবতই এবার কিছুটা বেশি উৎসাহ তৈরি হয়, এই গণপতি উৎসবকে ঘিরে। কিন্তু এবার তাতে বাঁধ সেধেছে জি এস টি। যার ফলে মহার্ঘ হয়েছে গণেশ মূর্তি। কারিগরদের দাবি, বাজার এমনিতেই মন্দা। তাই পুজো উদ্যোক্তারাও বাজেট কমিয়েছে। তাই তারা বাড়তি দাম দিতে রাজি হয়নি। মার খেয়েছে গণেশ মূর্তির বিক্রি। তাতেই আয়ে টান পড়েছে কারিগরদের।