প্রথাগতভাবে আমন্ত্রণ জানান হয়নি, আর সেজন্যই অসম্মানিত বোধ করায় বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতাজি মূর্তি উদ্বোধনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এদিনই নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে রেড রোডে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মালা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সমাবেশে তিনি বলেন, দিল্লির অনুষ্ঠানে আমাকে ঠিক করে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানান হয়নি। কেন্দ্রের এক আন্ডার সেক্রেটারিকে দিয়ে আমাকে চিঠি পাঠান হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, অন্তত একজন মন্ত্রীর নামে চিঠি পাঠানো যেত। এটা অত্যন্ত অপমানজনক ব্যাপার। আমরা যেন চাকর-বাকর। এজন্য ওদের আগেই আমি বাংলায় নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে গেলাম। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির গ্রানাইট পাথরের মূর্তির উদ্বোধন কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর। আর সেই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথামাফিক আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজির মুর্তির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কথা ছিল ১৫ আগস্টের মধ্যে গ্রানাইটের মূর্তির উদ্বোধন হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মাঝে হলোগ্রামেরও খোঁজ মিলছিল না। যা নিয়ে আগেও সরব হয়েছে তৃণমূল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেন, ওরা তো নেতাজির মূর্তি ভেঙে দিয়েছে দিল্লিতে। সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উদ্বোধনের কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রের আচরণে তিনি যে অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট বার্তায় বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই অনুষ্ঠানে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ পাওয়া আর একইভাবে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না নেতাজি কন্যা অনিতা পাফ। অনুষ্ঠান ৮ সেপ্টেম্বর আর নেতাজি কন্যাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। এর আগেও একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের তরফে অনিতাকে আমন্ত্রণ জানানোর পরে শেষ মুহূর্তে সে কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বাতিল হওয়ার খবরটি আর কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়নি। গোটা বিষয়টিতে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট অনিতা এজন্য বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে আসছেন না।