বারাসত: গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ক্লোজ করা হল বারাসত মহিলা পুলিশ থানার এক সাব ইন্সপেক্টরকে। অভিযোগ, মহিলা থানার এসআই বর্ণালী দাস তিনি গত ২৬ অগাস্ট অভিযোগ পাওয়ার পরও তদন্ত করেননি। এরপরই নির্যাতিতা মহিলা বারাসত পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানান। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত স্টেশন চত্তর এলাকায়।
গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারের নজরে আসতেই তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। তদন্ত নেমে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। অভিযুক্তদের আজ বারাসাত আদালতে তোলা হয়। যদিও ঘটনায় অভিযুক্তদের দাবি, অবৈধ সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণেই তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। বারবার করে অবৈধ সম্পর্ক রাখার জন্য জোর করছিল নির্যাতিতা। আর সেই সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ার কারণেই পরিবার সমেত সকলকে গণধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Left Front CGO Complex Rally: দুর্নীতির প্রতিবাদে বামেদের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে ভালো সাড়া
উল্লেখ্য, বাগুইআটি কাণ্ডে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল দুই কিশোরের পরিবার। এরপরই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বাগুইআটি থানার আইসি ও আইওকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। এরপরেও এমন ঘটনায় ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।