কলকাতা: ডিএ মামলায় রাজ্য আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত রাখল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার রাজ্যের ওই আবেদনের বিরোধিতা করে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আদালত অত্যন্ত সচেতন হয়েই কর্মচারীদের অধিকারের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডিএ দেওয়া নিয়ে। রাজ্য সরকার অযথা সময় নষ্ট করেছে।
আইনজীবী বলেন, ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের মধ্যে কোনও বৈষম্য করা চলে না। দিল্লির বঙ্গভবনে কর্মরত রাজ্যের কর্মচারী যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তা হলে অন্য সরকারি কর্মীদেরও একই হারে ডিএ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আইন অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে ডিএ পাওয়া কর্মচারীদের অধিকার। হাইকোর্ট সে কথাই বলেছে। এখানে সেই রায় পুনর্বিবেচনা করার কোনও জায়গাই নেই।
আরও পড়ুন: Left Front CGO Complex Rally: দুর্নীতির প্রতিবাদে বামেদের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে ভালো সাড়া
এদিকে রাজ্যে বিদ্যুত দফতরের কর্মীরা ২০২০ সাল থেকে বকেয়া ডিএ কবে পাবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এদিন সেই সংক্রান্ত মামলা পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পুজোর ছুটির পর ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন রাজ্য সরকারে্র তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ মেনে রোপা ২০০৯ অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ আরও দুটি দফায় ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মিটিয়ে দেওয়া হবে। সরকার তথা সংশ্লিষ্ট দফতর মামলার শুনানি পুজোর ছুটির পর করার আবেদন জানায়। আদালত তার পরেই মামলা পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। এর আগে বকেয়া ডিএ না মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল। পরে কয়ে্ক দফায় বকেয়া টাকা মেটানো শুরু হয়। তারপরেও ২০২০ সাল থেকে নতুন হারে প্রাপ্য মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে বিদ্যুত নিগম।