Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভচতুর্থ স্তম্ভ : নাগপুর, আর এস এস এবং তাদের স্বরুপ

চতুর্থ স্তম্ভ : নাগপুর, আর এস এস এবং তাদের স্বরুপ

Follow Us :

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ একটা সংগঠন নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক দর্শন। অক্টোপাসের মত এক শরীর, যেখানে মাথা একটা আর শুঁড় অসংখ্য। এই সংগঠনের দর্শন কোনও একজন লিখেছিলেন, এমনও নয়। মধ্যযুগীয় কিছু ধ্যান ধারণা কে সামনে রেখে তার কমপাইলেশন করা হয়েছে। তার বেশিরভাগটাই ভি ডি সাভারকারের হিন্দুত্ব বই থেকেই নেওয়া। মহারাষ্ট্রের চিৎপাবন ব্রাহ্মণদের এক বিরাট অংশ মদন মোহন মালব্যর হিন্দু ধ্যান ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হন, কিন্তু ওনার সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বাদ দিয়ে দেন, সনাতন ধর্মের কথা বলেন কিন্তু সনাতন সত্য কে বাদ দিয়ে দেন, শেষমেষ সাভারকারের দ্বিজাতিতত্ত্ব, সাভারকারের অসম্ভব মুসলমান বিদ্বেষ, সাভারকারের জঙ্গি রাষ্ট্রীয়বাদ এবং সাভারকারের হিন্দুত্ব, ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করেই আর এস এস গড়ে ওঠে। ১৯২৫ সালে ভারতবর্ষে দুটো ঘটনা ঘটছে। ২৭ সেপ্টেম্বার ১৯২৫ কেশব বলিরাম হেডগাওয়ার রাষ্ট্রিয় স্বয়ং সেবক সংঘ তৈরি করছেন নাগপুরে। তার তিন মাস পরে ২৬ শে ডিসেম্বার কানপুরে মুজফফর আহমেদ, এস বি ঘাটে, এম সিঙারভেলু, কে এম জোগলেকর, হসরত মোহানী, অযোধ্যা প্রসাদ মিলে তৈরি করলেন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তার আগে তাসখন্দ এ একটা চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তাতে এম এন রায়ের মত নেতারা থাকলেও সেটা ঠিক ভারতের কমিউনিস্ট নেতাদের একটা গ্রুপ এর মত তৈরি হয়েছিল। ১৯২৫, ২৬ ডিসেম্বার সেই অর্থে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির পথচলা শুরু।

প্রথম তফাতটা দেখুন আজ ৮৫ বছর পরেও আর এস এস এর হেডকোয়ার্টার নাগপুর, সেখান থেকেই তারা ছড়িয়েছেন, সারা দেশে তাদের উপস্থিতি, তারা আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায়, রাষ্ট্রের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে তারা প্রবলভাবে উপস্থিতই শুধু নয়, তাঁরাই প্রতিষ্ঠানগুলো চালাচ্ছেন। অন্যদিকে কানপুর তো ছেড়েই দিন গোটা উত্তরপ্রদেশে কমিউনিস্ট পার্টি নেই বললে কম বলা হয়, তারা মুছে গেছেন। বিধান সভা বা লোকসভার আসনের নিক্তিতে তো বটেই, এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও তারা নেই, তাদের উপস্থিতির কোনও চিহ্ন নেই। কমিউনিস্টদের বাদই দিলাম, ১৮৮৫ তে কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল, কিন্তু যাকে বলে কংগ্রেসী মতাদর্শ তা এসেছে দলে গান্ধিজী আসার পর থেকেই, ইংরেজ বিরোধিতা, স্বাধীনতার লড়াই তো ছিলই, তার সঙ্গে ছিল সর্ব ধর্ম সমন্বয়, উদার গণতান্ত্রিক কাঠামো, রাষ্ট্রের কল্যাণকারী ভূমিকা, দরিদ্রতম মানুষজনের সেবা ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক বিষয় যা সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষ কে আকর্ষিত করেছে। কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন মদন মোহন মালব্য, যিনি হিন্দু মহাসভা তৈরি করেছিলেন, জহর লাল নেহেরু যিনি সমাজতন্ত্রের কথা বলতেন, চক্রবর্তি রাজগোপালাচারির মত দক্ষিণপন্থী ছিলেন, জয়প্রকাশ নারায়ণের মত সমাজবাদিরাও ছিলেন, কমিউনিস্ট নেতারাও কংগ্রেসের মধ্যে কাজ করতেন। কিন্তু গান্ধিজী কংগ্রেসকে ক্রমশ এক মধ্যপথে আনার চেষ্টা করছিলেন, তিনি বুঝেছিলেন নাস্তিক, সমাজবাদী, কমিউনিস্টদের ঐ আর এস এস বা হিন্দু মহাসভা খুব সহজেই জনবিচ্ছিন্ন করতে পারবে, পারবে কারণ হাজার হাজার বছরের এক ধরনের আধ্যাত্মিক ধ্যান ধারণা আমাদের দেশে আছে, তার শেকড় খুব শক্ত, তাকে ওপড়াতে গেলে মানুষ ভুল বুঝবে আর তাকেই কাজে লাগিয়ে এই হিন্দুত্ববাদী শক্তি বা মুসলমান মৌলবাদী শক্তি তাদের সমর্থন বাড়াবে। তিনি নিজে গোঁড়া হিন্দুই ছিলেন, কিন্তু সর্ব ধর্ম সমন্বয়, জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই, হিন্দু মুসলমান ঐক্য ইত্যাদির কথা বলেই এক অন্য ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্বে না কমিউনিস্টরা, না সোশ্যালিস্টরা, না উদারগণতন্ত্রবাদীরা, কেউই এই আর এস এস – হিন্দু মহাসভার টার্গেট ছিল না। তারা নেতাজী, জহরলাল কে মারার কথা ভাবে নি কিন্তু গান্ধিজীকে? একবার নয়, বহুবার খুন করার চেষ্টা করেছে, চক্রান্ত চালিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত হত্যা করেছে। গান্ধী হত্যার দিন তারা মিষ্টি বিলিয়েছিল, তারা বুঝেছিল তাদের প্রধান শত্রু শেষ। কিন্তু তাদের এই হত্যাই তাদের কে জনবিচ্ছিন্ন করে, গান্ধীর আদর্শ আরও গভীর হয়ে চেপে বসে দেশের মানুষের, সমাজের ওপরে। এই গান্ধিবাদী আদর্শ থেকে তারা সরতে শুরু করেছিল জহরলাল নেহেরুর সময় থেকেই, কিন্তু সেই সরতে থাকাটা তেমনভাবে চোখে পড়েনি, কিন্তু পরবর্তিকালে উদার অর্থনীতি, গণতান্ত্রিক ধ্যান ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রের এক কঠোর ব্যবস্থার দিকে পা বাড়ায় কংগ্রেস, স্বৈরতান্ত্রিক ঝোঁক শুধু নয়, জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা গান্ধী, ঐ সময়টাই ছিল আর এস এস এর আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কে কাজে লাগিয়েই তারা ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু সংগঠন বেড়েছে সেই পুরনো হিন্দুত্বের শ্লোগানেই। ২২ ডিসেম্বর ১৯৪৯, রাত ৩ টের সময় আযোধ্যার আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো। এবং বিদ্যুতের চেয়েও বেশি বেগে খবর পৌঁছে গ্যালো “রামলালা নিজেই অবতীর্ণ হলেন তাঁর জন্মভূমীতে”, বাবরি মসজিদ কে ঘিরে সেখানকার হিন্দু সাধুদের যে দাবি ছিল তা হয়ে উঠল আর এস এস হিন্দু মহাসভার দাবী। সেই থেকে শুরু মন্দির ওঁহি বানায়েংগের আন্দোলন। আসল ঘটনা জানার পর পরেরদিন ই অযোধ্যা থানার ওসি রামদেও দুবে এফ আই আর করলেন যে অভিরাম দাস, রামসকল দাস আর সূদর্শন দাস এবং আরও কয়েকজন মিলে মসজিদে ঢূকে রামালালার মূর্তি বসায়, মসজিদের গায়ে কিছু আঁকিবুকিও কেটে আসে। সেই সময়ে অযোধ্যায় শহর হাকিম গুরু দত্ত সিং, জেলা হাকিম কে কে নায়ার, এস পি কৃপাল সিং এবং বিচারক ঠাকুর বীর সিং এরা বৈঠক করেন, রামলালা ভেতরেই থেকে যায়, গ্রেপ্তার হয়না, দর্শন চলতে থাকে। এই চারজনের প্রত্যক্ষ সাহায্যেই রামলালার মূর্তি থেকে যায়। পরে আদালতের আদেশে দর্শন বন্ধ হয়। এই অযোধ্যার ই শহর হাকিম গুরু দত্ত সিং ছিলেন রামভক্ত, বাড়ির নাম দেন রাম ভবন। এনার নাতি বিজেপি নেতা শক্তি সিং যিনি গুমনামি বাবা কে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন, এবং এখন ও প্রেস মিডিয়া কে ডেকে ২৩ জানুয়ারি গুমনামি সমাধি স্থলে ভাষণ দেন। তারমানে রামমন্দির আর তার পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র তো আজ নয়, বহু বহু পুরোনও, কিন্তু তা আকার পেল কখন? যখন কংগ্রেস দুর্বল, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী শক্তি, সমস্যাটা এখানেই, কংগ্রেস জাহান্নমে যাক, কিন্তু কংগ্রেস জাহান্নমে গেলে তার বদলে উঠে আসবে হিন্দুত্ববাদী আর এস এস, হয়েওছে সেটাই। এবং তারপর থেকে দেশ ক্রমশ এক হিন্দু টোটালেটারিয়ানদের দখলে চলে গেছে। দেশজুড়ে প্রচার চলছে, পুরো মিথ্যে, আধখানা মিথ্যে, আর কয়েকটা সত্যি দিয়ে এক জোরালো ককটেলের নেশায় পাবলিক বুঁদ, তারা প্রতিদিন এই বিষ উগরোচ্ছে, হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, মোগল ইতিহাসে লক্ষ লক্ষ মন্দির ভাঙা হয়েছিল, কেন সেগুলো স্কুলে পড়ানো হবে না? কেন তাজমহল ভেঙে তেজোমহল তৈরি হবে না? সাভারকার নাকি গান্ধিজী সমান নেতা ছিলেন, মুসলমানদের জন্য তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান, হিন্দুদের জন্য হিন্দুস্তান, জহরলাল নেহেরু মুসলমান ছিলেন, উনি আর জিন্না সৎ ভাই, ইন্দিরা গান্ধি মুসলমান বিয়ে করেছিলেন, এরকম হাজার হাজার মিথ্যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ হোয়াট অ্যাপ মেসেজ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, ফেসবুক টুইটারে ঘুরছে, তাই নাকি? তাই নাকি? এই প্রথম সত্যি জেনে বুঝতে পারছে মানুষ, হিন্দু খতরে মে হ্যায়, হর হর মহাদেও। 

এটা তলায় চলছে। সেখানে আর এস এস – বিজেপির বড় নেতাদের দেখবেন না, তাদের এক আধজন আবার সম্প্রিতীর কথাও বলবেন, ভাইচারার কথাও বলবেন। গত কাল যেমন আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবত দিল্লির মাদ্রাসায় চলে গেলেন, বিশুদ্ধ নৌটঙ্কি। ওপরের স্তরে খেলাটা আলাদা। ২০১৪, ২০১৯ এ যথাক্রমে সাত আর ছয় জন মুসলমান প্রার্থী কে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি, হারবে জেনেই, সব্বাই হেরেছে, কাজেই দেশের ১৬ এবং ১৭ তম লোকসভায় শাসক দলে একজনও মুসলমান ছিলেন না, রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদদের, তিনজন ছিলেন মুসলমান, মুক্তার আব্বাস নকভি, এম জে আকবর, সৈয়দ জাফর ইসলাম, তিনজনেরই মেয়াদ ফুরিয়েছে, একজনকেও আবার রাজ্যসভায় ফেরত পাঠানো হয় নি, আপাতত শাসকদলের সাংসদের একজনও মুসলমান নয়, দেশের প্রতি সাত জনের ১ জন মুসলমান, এটা মাথায় রাখুন। এরপর আসুন উত্তরপ্রদেশে ২০১৭, ২০২২ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি, জেতা ছেড়ে দিন, দুবারই একজনও মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করায় নি মোদি – শাহ – যোগী। মাথায় রাখুন, উত্তরপ্রদেশে প্রতি ৫ জনের একজন হলেন মুসলমান। আসুন অসমে, সেখানে ২০১৬ আর ২০২১ মিলিয়ে ১৭ জন মুসলমান প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছিল, একজন মাত্র জিতেছিল, সেটাও ২০১৬ তে, ২০২১ এ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারে একজন মুসলমানও নেই, অসমে জনসংখ্যার প্রতি তিন জনের একজন হলেন মুসলমান। এই বাংলায়, বিজেপির একজনও মুসলমান বিধায়ক নেই, আমাদের রাজ্যেও প্রতি তিন জনের একজন মুসলমান। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী প্রধান? না একজনও মুসলমান নেই। ৭৬ জন মন্ত্রী আছে মোদিজীর, একজনও মুসলমান নেই, মোদি সরকারের অধীনে ৮৭ জন সচিব আছে, কি ভাগ্য তাদের দুজন মুসলমান। 

মানে খুব পরিস্কার, তলায় চাপে রাখবো, ভয়ে থাকবে মুসলমান সমাজ, আর ওপরে ক্ষমতার ভাগেদারি দেবোনা, দেশের ১৬% মানুষ ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে, কেন? কেননা তারা মুসলমান। ইজরায়েলে জায়নিস্ট সরকার ২০ % মুসলমান আরব কে দেশে রেখেছেন, তোমরা থাকো, ব্যবসাও করো, পড়াশুনো করো, বিয়ে শাদী করো, নমাজ পড়ো, ইদ হোক, হোক সবে বারাত, কিন্তু ক্ষমতার হিসসেদারি চেয়ো না, তোমরা নাগরিক নও, প্রায় নাগরিক। আমাদের দেশেও সেই প্রায় নাগরিক বানানোর খেলাটাই চলছে, মোদি, যোগী, শাহ, আর এস এস – বিজেপির লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র, যেখানে সংখ্যালঘু মুসলমান ক্রিস্টানরা নাগরিক নয়, প্রায় নাগরিক। এটা হয় নাকি? দেশের ২০% মানুষকে না নিয়ে কোনও গণতন্ত্র চলতে পারে না, সেটা তো জানিই। এর শুরুটা কোথায়? এই বিচ্ছিন্নতা কি আজকের? মাত্র গত ৭/৮/৯ বছরের ফসল? তা তো নয়, ইউ পি এ সরকারের সময়েই এসেছিল সাচার কমিটির রিপোর্ট, তাতে মুসলমান সমাজের এক দুর্ভাগ্যজনক ছবি বেরিয়ে এসেছিল, স্বাধীনতার পরে যাঁরা থেকে গেলেন এক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে, তারা থেকে গেলেন কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হয়ে, তাদের উন্নয়ন, ভাগেদারি, হিসসেদারির কথা ভাবা হল না, আজ আরও প্রতিক্রীয়াশীল শক্তি দেশের ক্ষমতায় বসেছে, তারা সেই ন্যুনতম ক্ষমতাটাও কেড়ে নিয়ে, সংখ্যালঘু মানুষদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রাখতে চায়, তারা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। 

এগিয়ে চলেছে আমরা জানি, বিজেপি আর এস এস যদি সফল হয়, তাহলে জিন্নার স্বপ্ন সাকার হবে, জিন্নাহ বলেছিলেন, ভারতবর্ষ হবে এক হিন্দু রাষ্ট্র, সাভারকরের স্বপ্ন সাকার হবে, কারণ জিন্নাহর সঙ্গে একস্বরে তিনিও বলেছিলেন, ভারত হবে এক হিন্দু রাষ্ট্র। গান্ধী, নেহেরু, সুভাষ, প্যাটেল, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, অম্বেদকরের স্বপ্ন, এক ধর্মনিরপেক্ষ দেশের স্বপ্ন ভাঙবে, দেশের সেই সব মুসলমানেরা যারা জিন্নাহ র কথা শুনেও পাকিস্তানে গেলেন না, এই দেশেই থেকে গেলেন, তাঁরা হঠাৎ নিজেদেরকে একলা মনে করবেন, মনে করবেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে, তাঁদের ঠকানো হয়েছে। 

এখনই হিন্দু সমাজ থেকে উদার ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষজন কে এগিয়ে আসতে হবে, কেবল এগিয়ে এলেই হবে না, মুসলমান সমাজের, সংখ্যালঘু মানুষদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি বন্ধ করে, সত্যি উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ, বাসস্থানের, চাকরির, ভাগেদারির কথা বলতে হবে, একই সঙ্গে স্পষ্ট শব্দে যা অন্যায় সেটাও বলতে হবে, হিন্দু মুসলমানের গলা কাটলে সেটা সাম্প্রদায়িক, আর মুসলমান কাটলে হীরণ্ময় নীরবতা, চুপ করে থাকবো, এ জিনিস চলতে পারে না, যখন তালাক নিয়ে কথা হবে, তখন বলতে হবে মুসলমান নারীদের অধিকারের কথা, সায়রা বানো মামলা নিয়ে সরকারের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হবে, মুসলমান জনসমাজ, সংখ্যালঘু মানুষজনকে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এক উদার গণতান্ত্রিক পরিবেশ এ আনার দায়িত্বও নিতে হবে, সহনাগরিক হিসেবেই এই দায় নিতে হবে। সবচেয়ে আগে বুঝতে হবে আর এস এস এর এই স্বরুপ কে, তাদের কাঠামো কে, তাদের হঠাৎ হঠাৎ দু চারটে আলো আবছায়া মন্তব্যে ভেসে গেলে, ভেসে যাবে দেশ, এই বোধটাও খুব জরুরি।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Arjun Singh | 'শেখ শাহজাহানের গডফাদার পার্থ ভৌমিক', গারুলিয়ায় প্রচারে এসে দাবি অর্জুন সিংয়ের
07:44
Video thumbnail
Rekha Patra | রেখা পাত্রকে ঘিরে গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভ, প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির
11:51
Video thumbnail
Rekha Patra | X ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে
02:47
Video thumbnail
Amit Shah | বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের হয়ে প্রচারে অমিত শাহ
02:59
Video thumbnail
June Malia | 'তুম তো ধোঁকেবাজ হো', গানের মাধ্যমে মোদিকে নিশানা জুন মালিয়ার
01:04
Video thumbnail
Yogi Adityanath | দেবতনু ভট্টাচার্যের হয়ে বীরভূমে যোগী আদিত্যনাথের সভা
04:11
Video thumbnail
Mamata Banerjee | মালদহে জোড়া সভা মমতার, কী বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী
03:40
Video thumbnail
Rekha Patra BJP | সন্দেশখালিতে প্রচারে বাধা, রেখা পাত্রকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান মহিলাদের
11:51
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | 'বাংলাকে অপমান করার চক্রান্ত চলছে, অপমান করতে দেব না’, বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেকের
05:56
Video thumbnail
Amit Shah | গুয়াহাটিতে সাংবাদিক বৈঠকে ফের ৪০০ পারের হুঙ্কার অমিত শাহের
05:02