ওয়েব ডেস্ক: মাসির বাড়ি পৌঁছতেই পারল না জগন্নাথদেবের রথ (Puri Jagannath Rath Yatra)। শুক্রবারের পর শনিবার দ্বিতীয় দিনে ফের যাত্রা শুরু হল পুরীতে (Puri Jagannath)। রথযাত্রায় ভক্তদের জনজোয়ারের ভাসে পুরী। চলতি বছরে প্রথম দিনে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতেই পারেনি বলরাম-সুভদ্রা-জগন্নাথের রথ। সারা রাত পুরীর রাস্তায় রাখা ছিল তিনটি রথ। দ্বিতীয় দিনে ফের শুরু হয়েছে রথটানা। ইতিমধ্যেই মাসি বাড়ি পৈঁছেছে বলরামের রথ। সবার শেষে পৌঁছবে নন্দীঘোষ জগন্নাথের রথ। কেন শুক্রবার, রথযাত্রার দিন মাসির বাড়িতে পৌঁছোতে পারল না জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথ? প্রশাসন এবং মন্দিরের সূত্র বলছে, ভিড় অন্যতম কারণ। তবে তা ছাড়াও অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে।
রীতি মেনে দাদা বলভদ্রের রথ তালধ্বজ চলে সকলের আগে। তার পরে বোন সুভদ্রার দর্পদলন। সকলের শেষে চলে জগন্নাথের নন্দীঘোষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ দড়ি দিয়ে সেই রথ টেনে নিয়ে যান। তিনটি রথের গন্তব্য ছিল পুরীর গুণ্ডিচা মন্দির। জগন্নাথ মন্দির থেকে সেই মন্দিরের দূরত্ব মেরেকেটে তিন কিলোমিটার। সেই রীতি মেনেই শুক্রবার পুরীতে মহাধুমধাম করে শুরু হয়েছিল রথযাত্রা। শুক্রবার সকালে মন্দির থেকে রথ বেরিয়েও পৌঁছোতে পারেনি গন্তব্যে। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটেই থেমে গিয়েছিল যাত্রা। সারা রাত পুরীর রাস্তায় রাখা ছিল তিনটি রথ। প্রথমদিন বলরাম ও সুভদ্রার রথ কিছুটা এগোলেও মন্দির চত্বর থেকে বেরতেই পারেনি জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ। সেবায়তদের দাবি, ইতিহাসে প্রথমবার এত কম এগিয়েছে মহাপ্রভুর রথ। নিয়ম অনুসারে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আর রথ টানা যায় না। সেই মতো সন্ধ্যা নেমে আসায় যাত্রা বন্ধ করতে হয়। শনিবার সকাল ফের শুরু হয় রথযাত্রা। আজও পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে মন্দির চত্বরে। রাস্তার দুই পাশে থিকথিকে ভিড়। তবে গতকাল রথযাত্রা সম্পূর্ণ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ জগন্নাথের সেবাইতরা। তারা প্রশাসনকেই দুষেছেন। অভিযোগ তুলেছেন অব্যবস্থার।
আরও পড়ুন: মহিষাদলের ২৪৯ বছরের রথযাত্রা, ধর্মীয় উৎসব নয় সামাজিক মিলনমেলা
স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সূত্রের খবর, রথ সংলগ্ন ঘেরাটোপে বহু ভক্ত ঢুকে পড়েন সে কারণে রথ চলতে পারেনি। বার বার বাধা পেয়েছে। নিজেদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে পারেননি সেবায়েত এবং রক্ষীরা। শুক্রবারের ঘটনায় বিরোধী বিজেডি আঙুল তুলেছে বিজেপি সরকারের দিকে। যদিও সরকার এবং প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, এ বছর রথে পুরীতে প্রত্যাশার বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছে। খাতায়-কলমে পুরীতে শুক্রবার লোক হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।
অন্য খবর দেখুন