কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেননি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), এটি সম্পূর্ণ গুজব, সাফ জানালেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। তিনি বলেন, সোনিয়াজি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ না এই নির্বাচনের অংশ হবে, না কোনও প্রার্থীকে সমর্থন দেবে। দল, সোনিয়া গান্ধী এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে কেউ এই গুজব রটিয়েছে। খাড়্গে এও জানান, দলের তরফে ৯৩০০ জন প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়া হয়েছে যাঁরা সভাপতি নির্বাচনে ভোটদান করবেন। যিনি বিজয়ী হবেন নির্বাচিত হবেন তিনিই। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে খাড়্গের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শশী থারুর।
উত্তরপ্রদেশ থেকে ভোট দেবেন ১২৫০ জন প্রতিনিধি। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খাড়্গের দাবি, আমি এখানে আমার জেতার সম্ভাবনা যাচাই করতে আসিনি। যারা আমায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছেন তাঁরাই আমায় জেতাবেন। এর আগে বর্ষীয়ান নেতাটি বলেছিলেন, দেশের পরিস্থিতি খারাপ আর তার মোকাবিলা করতেই তিনি লড়তে চান। তিনি আরও বলেন, মোদি-শাহের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের কোনও স্থান নেই। সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে ক্ষমতার প্রয়োজন, তাই প্রতিনিধিদের সুপারিশ অনুযায়ী আমি নির্বাচনে লড়ছি।
আরও পড়ুন- Kolkata School is in the National Ranking List: দেশে ব়্যাঙ্কিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এল কলকাতার স্কুল
এদিকে দুই দিনে দু’বার লখনউ সফর বাতিল করতে বাধ্য হলেন শশী থারুর। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ইতিমধ্যেই ‘আন্ডারডগ’হিসেবে মনে করা হচ্ছে তাঁকে। এরই মধ্যে জল্পনা, মল্লিকার্জুন খাড়্গে উত্তরপ্রদেশে থাকায় থারুরকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কিছু শীর্ষ নেতাই থারুরকে লখনউ যেতে নিষেধ করেছেন। তাঁদের দাবি, সদ্য মুলায়ম সিং যাদব প্রয়াত হয়েছেন। রাজ্যে তিন দিন ধরে রাষ্ট্রীয় শোকপালন চলবে। এখন ভোটের প্রচার খারাপ দেখাবে। কিন্তু অন্য সূত্র বলছে, আদতে খাড়্গের সমর্থকদের সঙ্গে যাতে বিরোধ না হয় তার জন্যই থারুরকে আটকানো হয়েছে। মঙ্গলবারই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে হাজির হয়েছিলেন খাড়্গে। দলেরই একাংশ বলছে, থারুরকে ইচ্ছাকৃত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।