বাংলায় কিছুতেই সিএএ(CAA) করতে দেওয়া হবে না বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বুধবার তিনি বলেন, বিজেপি ভোটের আগে গুজরাতে নাগরিকত্ব তাস খেলতে চাইছে। ধর্মীয় এবং জাতিগত মেরুকরণের চেষ্টা করছে ওরা। ভোটের সঙ্গে ধর্ম এবং জাতিকে মেলানো ঠিক নয়। বাংলায় এসব চলবে না। বহুদিন পর আবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সিএএ (CAA) বিরোধিতার কথা শোনা গেল। এদিন চেন্নাই(Mamata Visit Chennai) যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিএএ(CAA) নিয়ে মুখ খোলেন।
গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry) গুজরাতের(Gujarat) দুই জেলা মেহসানা এবং আনন্দে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের এ দেশের নাগরিকত্ব দেওযার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিতে অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পারসি, জৈন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে তা হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে। ২০১৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) অবশ্য এ ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই নির্দেশনামা নিয়েই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, গুজরাতে ভোটের আগে বিজেপি নাগরিকত্ব তাস খেলতে চাইছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশনামাকে সামনে রেখে রাজ্য বিজেপিও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বলেন, এবার এই রাজ্যেও সিএএ চালু হবে। এখনও কেন রাজ্যে সিএএ চালু করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক। বিশেষত মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলির বিজেপি বিধায়করা এ ব্যাপারে সরব হন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে বিজেপি মতুয়া সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে চলেছে। তৃণমূল প্রশ্ন তোলে, মতুয়ারা তো ভোট দিচ্ছে, তাদের রেশন কার্ড রয়েছে। আবার তাদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উঠছে কেন।
এই আবহে গুজরাতের দুই জেলায় অমুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশনামা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বহুদিন পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সিএএ ইস্যুতে সরব হতে দেখা গেল। সংসদে সিএএ আইন পাশ হওয়ার পর তার প্রতিবাদে স্বয়ং মমতা পথে নেমেছিলেন। তৃণমূলের মিছিলে স্লোগান উঠেছিল, ক্যা ক্যা, ছ্যা ছ্যা। তিনি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বাংলায় সিএএ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।