Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশAnubrata Mandal: দিল্লি ও কলকাতায় সুকন্যা-সহ কেষ্ট ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ

Anubrata Mandal: দিল্লি ও কলকাতায় সুকন্যা-সহ কেষ্ট ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ

Follow Us :

গরু পাচার কাণ্ডে বুধবার কলকাতা এবং দিল্লিতে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি এবং সিবিআই। কোনও না কোনও ভাবে তাঁরা সকলেই জেলে বন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এক সঙ্গে এতজনকে সাম্প্রতিক কালে তলব করেনি কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। 

এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতর প্রবর্তন ভবনে হাজিরা দেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এর আগেও তাঁকে অনেকবার তলব করেছিল। কিন্তু অসুস্থ বান্ধবীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে সুকন্যা জানিয়েছিলেন। অবশেষে বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সুকন্যাকে নোটিস দেওয়া হয়। তিনি মঙ্গলবারই অণ্ডাল থেকে বিমানে দিল্লি পৌঁছন। বুধবার সকালে সুকন্যা হাজির হয়ে যান ইডি দফতরে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির অফিসাররা।

সামান্য একজন প্রাথমিক শিক্ষিকার এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি হল কী করে্, সেটা খুঁজে্ বার করাই সিবিআই এবং ইডির মূল উদ্দেশ্য। তাঁর নামে ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কলকাতা এবং বীরভূমে তাঁর নামে বহু সম্পত্তি রয়েছে। একটি চালকল সমেত দুটি সংস্থার তিনি মালিক। এসব সম্পত্তিতে গরু পাচারের টাকা খেটেছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি এবং সিবিআই। প্রয়োজন হলে সুকন্যাকে অনুব্রতর দেহরক্ষী দিল্লিতে ইডি হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। এদিনই দিল্লিতে তলব করা হয় অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে। তাঁদেরও দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। 

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee-CAA: বাংলায় সিএএ নয়, ফের হুঁশিয়ারি মমতার

এদিকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে এদিন ডাকা হয়েছিল অনুব্রতর খুবই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিক্ষা ব্যবসায়ী মলয় পিটকে। তবে তিনি হাজিরা দেননি। তাঁর সংস্থার এক অ্যাকাউন্ট্যান্টকে পাঠানো হয়। তাঁর সংস্থা স্বাধীন ট্রাস্টের সম্পাদক জয়ন্ত ঘোষ, বোলপুরের এক প্রোমোটার অতনু মজুমদার, এক লটারি ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়। 

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে এক কোটি টাক পান। সিবিআইয়ের দাবি, লটারির টিকিটটি কিনেছিলেন বোলপুরের এক বাসিন্দা। সেই টিকিট বাপির মাধ্যমে কিনে নেন অনুব্রত। সেই লটারির পুরস্কারের টাকার মাধ্যমে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অনুমান। সেই সূত্রেই লটারি ব্যবসায়ী বাপিকে এদিন তলব করা হয় কলকাতায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular