কলকাত: ব্যাকফুটে শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর আদালত অবমাননার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য মামলাটি খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি লালগড়ে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেছিলেন, বিরোধী দলনেতা রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ মানেনি পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যের ডিজির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা করেন তিনি। এই আবেদনই এদিন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:Kolkata High court on Cbi: নিয়োগ তদন্তে সিবিআই ভূমিকায় ক্ষোভ, সিটের সদস্য বদল করতে চান বিচারপতি
আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দুকে নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননা হবে না, এর জবাব চেয়ে ডিজিকে তলব করা হয়েছিল আদালতে। ওই মামলায় হাই কোর্টে হাজিরাও দিয়েছিলেন ডিজি। এদিন সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হল।
বাম জমানার শেষ পর্বে নেতাইয়ে বেশ কয়েকজনকে একটি খড়ের গাদায় পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযওগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে. ওই ঘটনাকে তৃণমূল নেতাই গণহত্যা বলে প্রচার করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতানেত্রী গ্রেফতার হন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই সময় নেতাই গণহত্যা নিয়ে রাজ্যে ব্যাপাক আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি আদালত ওই ঘটনায় জড়িত কয়েকজন জামিনে মুক্তি দেয়। তৃণমূলে থাকাকালীন প্রতি বছর শুভেন্দুর নেতাইয়ে যেতেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এবছর ৭ জানুয়ারি শুভেন্দুর নেতাইয়ে যাওয়ার। একই সময়ে সেখানে তৃণমূলেরও কর্মসুচি ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অজুহাত দেখিয়ে শুভেন্দুকে নেতাইয়ে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু আদালতে মামলা করেন।
