কলকাতা: বুধবার দেশে পালিত হচ্ছে ‘ন্যানশনাল প্রেস ডে”(National press day)। জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস। ভারতীয় গণতন্ত্রে (democracy) এক মহতী দিন। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে (fourth estate) আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের মুহূর্ত। বিশেষ করে যখন সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বারবার নেমে আসছে আক্রমণ।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, গণতন্ত্রের এই স্তম্ভ ক্ষমতাশালী শাসক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগসূত্র। এককথায় সমাজের দর্পণ হচ্ছে মিডিয়া (media)। শাসককে চোখে আঙুল দেখিয়ে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া যার অন্যতম কাজ। মিডিয়ার সূচনাই হয়েছিল সেই লক্ষ্যে। সময়ের সঙ্গে দুনিয়ায় প্রযুক্তিগত মাধ্যমের বদল হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের পরিধির বিস্তার ঘটেছে। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের প্রতি শাসকের রক্তচক্ষু বদলায়নি। বারবার মিডিয়ার উপর আঘাত নেমে এসেছে। তাছাড়া, গৌরী লঙ্কেশকে (gauri lankesh) হত্যার মতো বিভিন্ন শক্তিশালী গোষ্ঠীর হাতে দৃঢ়চেতা (firm) সাংবাদিককে (journalist) প্রাণে মেরে ফেলার ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে।
সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবর নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। পেড নিউজ রুখতে বিভিন্ন কার্যকলাপ সামনে এসেছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে জোরালো আইন তৈরি করতে সচেষ্ট হয়নি শাসক। ভারতীয় সংবিধানের (constitution) আর্টিকল ১৯. ১ (এ) (aricle 1a) অনুযায়ী, মত প্রকাশের স্বাধীনতার (freedom of speech and expression) কথা বলা হয়েছে। তা-ই সংবাদমাধ্যমের অন্যতম মূল অস্ত্র।
সংবাদমাধ্যমের দৌলতেই ইতিহাসের বড় বড় কালো ঘটনা সামনে এসেছে। সে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারি হোক বা হাল আমলের বরিস জনসনের করোনার (corona) সময় পার্টি (party) করার স্ক্যান্ডেল। যার জেরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (president) নিক্সনের মতো সরতে হয়েছে জনসনকে। কোনও ঘটনা বিচারের আগে কোথাও মিডিয়া ট্রায়াল (media trial) হচ্ছে বলেও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে, মিডিয়ার প্রচার না পেলে অনেক ঘটনাই আলোকপাতের বা তদন্তের (investigation) মুখ দেখে না। সেও বারবার দেখা গিয়েছে। মিডিয়ার দৌলতেই আমলাশোলে পিঁপড়ের ডিম খেয়ে মানুষের জীবন ধারণের ঘটনা সামনে এসেছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণের ঘটনাও সংবাদপত্রে (media) প্রথম প্রচারিত হয়েছিল। পরে যে ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এজেন্সি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর ঘটনা দেশ দুনিয়ার (world) বিভিন্ন জায়গায় সামনে এসেছে। কিন্তু, দমানো যায়নি সংবাদমাধ্যমকে (media)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শাসক শিবির সমীহ করে বলেই কণ্ঠরোধ করার এতো চেষ্টা। এই দিবস নতুন করে শপথ নেওয়ার।