২০ দিনের লড়াই শেষ, প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ ২০ নভেম্বর, বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১ নভেম্বর, স্ট্রোক (brain stroke) হয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঐন্দ্রিলা। জানা যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এরপরই কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। এরপর টানা ২০ দিন চলে শারীরিক অবস্থার ওঠাপড়া। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হল না পর পর দু’বার ক্যানসার জয়ী ঐন্দ্রিলার। মাত্র ২৫ বছরে লড়াই থামল জিয়নকাঠি খ্যাত ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ।
শুক্রবার রাতে আশার আলো দেখিয়ে শনিবার রাতে ফের অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে ঐন্দ্রিলার (Aindrila Sharma) শারীরিক অবস্থা। শনিবার রাতে পর পর ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ভেন্টিলেশন (ventilation) সার্পোটে আগে থেকেই ছিলেন অভিনেত্রী। ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর তাঁকে সিপিআর (CPR) দেওয়া হয়। ঐন্দ্রিলাকে সব রকম সাপোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma: পঁচিশেই নিভল ঐন্দ্রিলার ‘জীবন জ্যোতি’
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মঙ্গলবার অবস্থার উন্নতি হয় অভিনেত্রীর। তবে বুধবার সকালেই ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরই অভিনেত্রীকে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। বাধ্য হয়ে বুধবার মাঝরাতে আরেকটু থাকতে দাও ওকে…এসব লেখার অনেক সময় পাবে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন সব্যসাচী।
এরপর শুক্রবার ঐন্দ্রিলার অবস্থার উন্নতি হয়। জানা যায় ভেন্টিলেশনে থাকলেও আপাতত অন্যান্য কয়েকটা সাপোর্টের প্রয়োজন পড়েনি তাঁর। তবে এরই মধ্যে এক বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ঐন্দ্রিলার। যদিও এর পর ঐন্দ্রিলার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান চিকিত্সকরা। এরপরই শুক্রবার রাতে ফের ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন সব্যসাচী। তিনিও ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানান। এমনকী ফেসবুক বন্ধুদের ঐন্দ্রিলার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদও জানান সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে অরিজিত্ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর যে কথা হয়েছে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন ফেসবুকে।
কিন্তু শনিবার রাতে চিত্রটা আমূল বদলে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পর পর বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ায় অভিনেত্রীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শনিবার রাতেই ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ফেসবুকে তাঁর করা সবকটি পোস্ট ডিলিট করেন সব্যসাচী। অন্যদিকে অভিনেতা জিতু কমলের ফেসবুকের ডিপি কালো হয়ে যাওয়ায় ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তীব্র উত্কণ্ঠা তৈরি হয় সোশাল মিডিয়ায়। শেষ পর্যন্ত এই সব দুঃশ্চিন্তা ও উত্কণ্ঠাকে সত্যি করে রবিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা।