কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। চূড়ান্ত অমানবিক সৌদি আরবে (Saudi Arabia) ক্ষমতাসীন প্রশাসনের আচরণ, বলছেন ওই সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কারণ মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে গত ১০ দিনে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশকে তরোয়াল দিয়ে গলা কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেও মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমানো হবে বলে জানানো হয়েছিল সৌদি আরব প্রশাসনের তরফে। যদিও সেই প্রবনতা সাম্প্রতিককালে ফের বেড়ে গিয়েছে। বছর কয়েক আগে সৌদি আরবের সুলতান জানিয়েছিলেন, মৃত্যুদণ্ড কম করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একমাত্র খুনের আসামিদের ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। ২০১৮ সালে আমেরিকার সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গিকে (Jamal Khashoggi) তুরস্ক (Turkey) প্রশাসন মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর পর থেকেই পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে।
মাদক পাচারের অভিযোগ যে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জন পাকিস্তানি, ৪ জন সিরীয়, ২ জন জর্ডনের নাগরিক এবং বাকি ৩ জন সৌদি আরবের বাসিন্দা। আর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, শুধু চলতি বছরেই ১৩২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি প্রশাসন। চলতি বছরের মার্চ মাসে খুন, সন্ত্রাসবাদ-সহ নানা অপরাধে জড়িত ৮১ জন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি (Human Rights Organisation)।
গোটা ঘটনায় সৌদি আরবের একটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীর দাবি, দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসক হিসাবে সুলতান মহম্মদ বিন সালমান (Mohammed Bin Salman) নিজে একাধিকবার মৃত্যুদণ্ড কম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শুরুতে ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছিল। মাদক সংক্রান্ত অপরাধে চরম শাস্তি দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, অথচ চলতি বছরে সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। বরং একের পর এক ক্ষেত্রে মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”