বীরভূম: লটারির টিকিট দেওয়ার জন্য অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠরা এসে হুমকি দিয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ শেখ নুর আলির বাবা কটাই শেখের। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমার ছেলে এক কোটি টাকার লটারি পেয়েছিল। পার্টির লোকেরা বাড়িতে এসে সেই টিকিট দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভয়ে সাতদিন গ্রাম ছাড়া ছিলাম আমি এবং দুই ছেলে। পরে গ্রামে ফিরলে জোর করে কেড়ে নেওয়া হয় টিকিট। এমনকী লটারি টিকিট না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকেই নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই।
এদিন সকালেই নুরের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল। তাঁকে আজই বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়। ছেলের সঙ্গে বোলপুরের শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কটাই শেখও অস্থায়ী শিবিরে আসেন। শিবিরের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করেন, এই লটারির টিকিট অনুব্রত মণ্ডল প্রভাব খাটিয়ে ছেলের কাছ থেকে নিয়েছিল। তাঁর বিনিময়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিল অনুব্রত। পাশাপাশি পরিবারকে ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ কটাইয়ের। তবে কটাই দাবি করেন, তিনি বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কাউকে চেনেন না।
সিবিআইয়ের দাবি, বিশ্বজ্যোতি এবং ভজা নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান নুরের সঙ্গে ৮৩ লক্ষ টাকায় ডিল করেছিলেন ওই টিকিট নেওয়ার ব্যাপারে। তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে হুমকি দিয়ে ওই টিকিট আদায় করেন। কিন্তু মাত্র সাত লক্ষ টাকা দিয়ে নুরদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এদিনই সিবিআই দিল্লিতে তলব করেছে বিশ্বজ্যোতিকে। লটারি নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:Covid Situation China: হুহু করে বাড়ছে করোনা, দৈনিক কোভিড সংক্রমণ রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে
গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলের লটারি যোগের সন্ধান পায়। এরপর তদন্তকারীদের হাতে একাধিক তথ্য আসে। ২০১৯ সালে অনুব্রত লটারিতে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেই বছরই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ২৫ লক্ষ টাকা লটারিতে জেতেন। পরে ফের সুকন্যা ২৬ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন। ২০২০-তে কেষ্ট কন্যা লটারিতে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পান। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুব্রত এক কোটি টাকা জিতেছিল। আর ২০১৭ সালে এনামুল হক পায় ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার জেতেন।