বেজিং: চিনে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ (Covid Infection) রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। কোভিড প্যানডেমিক (Covid Pandemic) পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে চিনে এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রণের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। কোভিড সংক্রমণে লাগাম টানার জন্য চিনে এখন লকডাউনের কড়াকড়ি চলছে, তার সঙ্গে আক্রান্তদের গণপরীক্ষা (Mass Testing) চলছে এবং ভ্রমণের উপরেও জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। বুধবার সে দেশের ন্যাশনাল হেলথ ব্যুরো (National Health Bureau)-র দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চিনের অভ্যন্তরে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩১,৪৫৪। এর মধ্যে ২৭,৫১৭ জনের কোনও কোভিড উপসর্গ নেই অর্থাৎ অ্যাসিম্পটোম্যাটিক (Asymptomatic), ৩,৯৩৭ জনের উপসর্গ রয়েছে।
চিনের বর্তমান জনসংখ্যার (Population) পরিমাণ ১৪০ কোটি। সেই তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম হলেও, কোভিড ভীতিতে রয়েছে চিন। বেজিংয়ের জিরো-কোভিড পলিসি (Zero-Covid Policy) অনুযায়ী, সামান্যতম করোনার (Corona) ঘটনাতেও গোটা শহর বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine) পাঠানো হয়। তবে চিনের এই কোভিড নীতি নিয়ে প্রচণ্ড অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত সে দেশের জনগণ। ২০১৯ সালের নভেম্বরে চিনেই প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তারপর মহামারীর আকার নেয় এই মারণরোগ। তিন বছর কোভিড নিয়ে নাজেহাল চিনের সাধারণ মানুষ। তার উপর সরকার কথায় কথায় লকডাউন করছে, সে নিয়ে চিনা জনগণ বিক্ষুব্ধ। কারণ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিনে শিল্পোৎপাদন (Industrial Production) ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sitapur Incident: ‘বেচাল’ স্ত্রীকে সবক শেখাতে খুনের পর টুকরো করে ফেলল স্বামী, সঙ্গী বন্ধু
এর আগে চিনে সর্বাধিক দৈনিক করোনা সংক্রমণের রেকর্ড ছিল গত ১৩ এপ্রিলে ২৯,৩৯০টি। সে সময় সাংহাইতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, যার জেরে সাধারণ মানুষ খাবার এবং চিকিৎসা পরিষেবার সমস্যায় পড়েছিলেন। নতুন করে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভিডে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৫২৩২। বুধবারের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী চিনে করোনা উপসর্গ (Corona Symptom) সহ সংক্রমণের সংখ্যা ২,৯৭,৫১৬।