নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) অরুণ গোয়েলের (Arun Goel) নিয়োগে ‘বিদ্যুৎগতি’র কারণ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় সরকার গোয়েলকে নিয়োগের অরিজিনাল ফাইল পেশ করে। চারদিনের ম্যারাথন শুনানির পর এদিন সর্বোচ্চ আদালত রায়দান স্থগিত রাখে। নির্বাচন কমিশনকে স্বশাসিত করার দাবি জানিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদনের উপর শুনানি চলছিল সাংবিধানিক বেঞ্চে। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ও অন্য দুই কমিশনার নিয়োগে স্বাধীন ও স্বচ্ছতা অবলম্বনে একটি নিরপেক্ষ প্যানেল গঠন করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, বুধবারই নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) পদে অরুণ গোয়েলের (Arun Goel) নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলপত্র দেখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে কোনও গোপন কারসাজি হয়েছে কি না, বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তাও জানতে চায়। কারণ কাজ থেকে অতি সম্প্রতি স্বেচ্ছাবসর (Voluntary Retirement) দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপর ১৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন অরুণ গোয়েল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবেই, মাথা নত করব না, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আদালতের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল দেখতে চাওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) আর বেঙ্কটরামানি (R Venkataramani)। কিন্তু সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি। বেঙ্কটরামানি বলেন, আদালত এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন (EC) এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) সংক্রান্ত বড় ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitutional Bench) আলাদা করে একটা ঘটনার দিকে নজর দিতে পারে না। এর উত্তরে আদালত বলে, এই বিষয়ে শুনানি শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আর গোয়েল নিযুক্ত হয়েছেন ১৯ তারিখ। ঠিক কী কারণে এই পদক্ষেপ তা খতিয়ে দেখতে চায় আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল অরুণ গোয়েলের। ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব হঠাৎই স্বেচ্ছাবসর নেন। এদিকে মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র অবসর নেন। তখন থেকে পদ ফাঁকাই ছিল। এদিকে ডিসেম্বর মাসের ১ ও ৫ তারিখে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। তার কিছুদিন আগে কমিশনার পদে এলেন অরুণ গোয়েল। এই ব্যাপারটাও সন্দেহের উদ্রেক করছে।
এদিন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ফাইল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদিত হয়। এক্ষেত্রে সরকারের এত হুড়োহুড়ি ছিল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।