Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeখেলাবিশ্ব কাপ থেকে বিদায় নিল কাতার, ভেসে রইল সেনেগাল

বিশ্ব কাপ থেকে বিদায় নিল কাতার, ভেসে রইল সেনেগাল

Follow Us :

সেনেগাল–৩    কাতার–১

(দিয়া, দিয়েদৌ, দিয়েং)   (মহম্মদ মুনতারি)

এবারের বিশ্ব কাপ থেকে সবচেয়ে আগে বিদায় নিল আয়োজক দেশ কাতার। পর পর দুটো ম্যাচ হেরে তাদের এবারের অভিযান শেষ। তবে এখনও একটা ম্যাচ বাকি আছে। নিয়মরক্ষার সেই ম্যাচে কাতার মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। ২৯ নভেম্বর। আয়োজক দেশ হওয়ার একটা বড় সুযোগ ছিল কাতারের সামনে। নিজেদের সমর্থক। পরিচিত পরিবেশ। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার ব্যাপারে অনেকগুলো সুবিধে ছিল কাতারের। কিন্তু তারা সেই সুযোগটা নিতে ব্যর্থ। তবে নিজেদের দেশে খেলা হলে যে সব সময় সেই দেশ যে ভাল খেলে কোয়ালিফাই করে তা সব সময় হয় না। যেমন নিজেদের দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল। ২০১০ সালের পর আবার ২০২২ সালে কাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করল দক্ষিণ আফিকার। প্রথম ম্যাচে ইকোয়েডরের কাছে হারার পর আবার হারতে হল সেনেগালের কাছে।

সেনেগাল প্রথম ম্যাচে হেরেছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। শুক্রবার হারাল কাতারকে। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট তিন। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইকোয়েডর। সেই ম্যাচে জিতলে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আসবে আফ্রিকার দেশটির কাছে। এবার এশিয়ার দেশগুলির তুলনায় আফ্রিকার দেশগুলির পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। এশিয়ার সৌদি আরব হারিয়ে দিয়েছে আর্জেন্তিনাকে। দক্ষিণ কোরিয়া রুখে দিয়েছে উরুগুয়েকে। জাপান হারিয়ে দিয়েছে জার্মানিকে। আবার এদিনই ইরানের কাছে হারতে হয়েছে ওয়েলশকে। ফ্রান্সের কাছে হেরে গেলেও অস্ট্রেলিয়া শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। সেই তুলনায় আফ্রিকার দেশগুলি এবার খুবই ম্রিয়মান। তিউনিশিয়া, ঘানা, মরক্কো কিংবা ক্যামেরুন তেমন কিছু করতে পারেনি। তারা জিততে পারেনি কেউই। সেই বিচারে প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের জয় আফ্রিকার ফুটবলের মুখ খানিকটা হলেও রক্ষা করল।

তবে সেনেগালের আসল মুখ তো এবারের বিশ্ব কাপের আগেই ছিটকে গেছেন। সাদিও মানেকে ছাড়াই সেনেগালকে খেলতে হচ্ছে। চোটের জন্য বায়ার্ন মিউনিখের মানে এবার নেই। তবে তা সত্ত্বেও সেনেগাল কিন্তু লড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব কাপে তাদের একটা ইতিহাস আছে। ২০০২ সালে কোরিয়াতে তারা হারিয়ে দিয়েছিল আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। শেষ পর্যন্ত উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই দলের অধিনায়ক আলৌ সিসে এবারের কোচ। এদিন কাতার তাদের গোলকিপার বদল করে। প্রথম ম্যাচে ইকোয়েডরের কাছে জোড়া গোলে হারের জন্য বাদ দেওয়া হয় সাদ আল সিবকে। তাঁর বদলে খেলেন মেসাল বরসাম।। খারাপ খেলছিলেন না। সেনেগালের আক্রমণগুলি বেশ ভালভাবেই প্রতিহত করছিলেন। কিন্তু ৪১ মিনিটে সেন্টার ব্যাক বৌলেম খৌকি একটা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পড়ে যান। বল তাঁর সামনে গড়াতে থাকে। কাছেই ছিলেন বৌলায়ে দিয়া। তিনি ছুটে এসে জোড়ালো শটে গোল করেন। ৪৮ মিনিটে ডান দিক থেকে একটা চমৎকার আক্রমণ তুলে আনে কাতার। এবং তা শেষ হয় ফামারা দিয়েদহৌর গোলে। দু গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল কাতার এবার দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু ৭৮ মিনিটে একটা গোল শোধ করে দেয় কাতার। ডান দিক থেকে আক্রমণের পর হেড করে গোল করেন সুপার সাব মহম্মদ মুনতেরি। সেনেগালের গোলকিপার এডোয়ার্ড মেন্ডি নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দুটো বাজে গোল খেয়েছিলেন। কিন্তু এদিন তিনি ভালই খেলেন। এই গোলটার জন্য তাঁকে দায়ী করা যায় না।

তবে প্রশংসা করতে হবে সেনেগালের। এর পরেও তারা দমে না গিয়ে গোল করে। ৮৪ মিনিটে কাতার ডিফেন্সের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে গোল করে যান দিয়েং। সব মিলিয়ে সেনেগাল এখনও ভেসে রইল বিশ্ব কাপে। আর বিদায় নিতে হল কাতারকে। একটু তাড়াতাড়ি।

RELATED ARTICLES

Most Popular