রিও ডে জেনেইরো: প্রয়াত ব্রাজিলের প্রখ্যাত লেখিকা নেলিদা পিনন (Nélida Piñon)। শনিবার তিনি চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর প্রকাশনা সংস্থা (Publishing House) সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে। ব্রাজিলীয় খ্যাতনামা এই লেখিকার সৃষ্টি ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে।
খ্যাতনামা লেখিকা ও অসাধারণ পণ্ডিত (Writer and Scholar) নেলিদার প্রকাশনা সংস্থা সূত্রে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “নেলিদা পিনন লিসবনের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুর কারণ কী, তা এখনও সুনিশ্চিত করা হয়নি।” জানা গিয়েছে যে তাঁর মরদেহ ব্রাজিলে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে এবং ব্রাজিলিয়ান অ্যাকাডেমি অব লেটার্স (Academia Brasileira de Letras – ABL)-এর সমাধিস্থলে (Mausoleum) সমাধিস্থ করা হবে।
এবিএল সভাপতি মার্ভেল পেরেইরা (ABL President Merval Pereira) গ্লোবোনিউজ (Globonews)-কে বলেছেন, নেলিদার প্রয়াণে ব্রাজিলিয়ান সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। সাহিত্য ক্ষেত্রে তিনি সম্ভবত ব্রাজিলের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, এবিএল সভাপতি গ্লোবোনিউজে কলামনিস্ট (Columnist) হিসেবে কাজ করেন।
নেলিদা পিননের জন্ম রিও ডে জেনেইরোতে (Rio de Janeiro) ১৯৩৭ সালে। ব্রাজিল থেকে তাঁর পরিবার বহুদিন আগে স্পেনের গালিসিয়াতে চলে এসেছিল। দ্য হাউস অব প্যাশন (The House of Passion), দ্য রিপাবলিক অব ড্রিমস (The Republic of Dreams)-এর মতো বহু উপন্যাস লিখেছিলেন নেলিদা। এছাড়াও, প্রচুর ছোটগল্প লিখে গিয়েছেন। ১৯৮৯ সালে পিনন ব্রাজিলিয়ান অ্যাকাডেমি অব লেটার্স (Brazilian Academy of Letters)-এ যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রতিষ্ঠান ফ্রেঞ্চ অ্যাকাডেমি (French Academy)-র সমতুল্য। সাত বছর পর ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হন। ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব সান্তিয়াগো ডে কমপোস্তেলা (University of Santiago de Compostela)-তে প্রথম মহিলা হিসেবে ডক্টরেট সম্মান (Doctor Honoris Causa) অর্জন করেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৫ সালে তিনি প্রিন্স অব অস্ট্রিয়াস প্রাইজ ফর লিট্রেচার (Prince of Asturias Prize for Literature) সম্মানে ভূষিত হন। স্পেনে এই সম্মান নোবেল (Nobel) পুরস্কারের সমতুল্য। সাংবাদিকতা ক্ষেত্রেও তাঁর ডিগ্রি ছিল।