দেবজ্যোতি ঘোষ: আগামী বছর এর মে-জুন মাসে হতে চলেছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। এই নির্বাচন এর রূপরেখা ঠিক করতে ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে বসছে তৃণমূলের (TMC) বিশেষ বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avishek Banerjee)। এছাড়াও সমস্ত সাংসদ (MP), বিধায়ক (MLA) এবং বেশ কিছু প্রথম সারির নেতৃত্ব বৈঠকে যোগ দেবেন। এই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন কর্মসূচি গ্রামে রাত্রিযাপন
আগামী জানুয়ারি মাসে ১০ দিন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ দিন ৩৩০০টি গ্রামে ৩০০ জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্বকে নিয়ে রাত্রিবাসের কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামের বিধায়কদের (MLA) এবং দলীয় নেতৃত্বকে দু’টি বিশেষ ফর্ম্যাট পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে জানুয়ারি মাসের ১০ দিন ও ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ দিন নির্দিষ্ট করে বিধায়ক এবং নেতৃত্বকে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: TMC West Bengal: জনসংযোগ! আগামী ২ মাসে ৩৩০০ গ্রামে রাত্রিযাপন করবে তৃণমূল
প্রথম ফর্ম্যাটে থাকবে
১) বিধানসভার নাম ২) অঞ্চলের নাম ৩) যদি বিশেষ গ্রাম থাকে বা বুথ থাকে তার নাম এবং বুথ নম্বর। ৪) পরিবারের সদস্যদের নাম ৫) পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর।
দ্বিতীয় দ্বিতীয় ফর্ম্যাটে থাকবে
১) বিধানসভার নাম ২) গ্রামের নাম ৩) বুথ নম্বর ৪) পরিবারের অভিভাবকের নাম ৫) পরিবারের মূল সদস্যের নাম, ৬) পরিবারের বৈধ ভোটারের নাম ও সংখ্যা।
দ্বিতীয় ফর্ম্যাটে এছাড়াও থাকবে নিম্নলিখিত প্রশ্নাবলি
১) সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কি না? হ্যাঁ অথবা না।
হ্যাঁ বা না না হলে বিস্তারিত বিবরণ।
২) এলাকাগত ভাবে আপনার কোনও অসুবিধা আছে কি না?
হ্যাঁ অথবা না। হ্যাঁ হলে কারণ বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে।
৩) আমাদের কারও আচরণে আপনি ব্যথিত কি? হ্যাঁ অথবা না। হ্যাঁ হলে বিস্তারিতভাবে নাম ও কারণ লিখতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের টিকিট বণ্টন করা হবে। যে প্রতিনিধি দল যাবে তাদের নাম গোপন থাকবে স্থানীয় নেতৃত্বদের কাছে। এছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন প্রতিনিধি সেই দলে থাকবেন।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে অভিষেকের তৈরি বিশেষ টিম। তারাই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে। এলাকায় যে সব সমস্যা এই বিশেষ অভিযানে ধরা পড়বে সেটি ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সমাধান করা হবে। পঞ্চায়েত স্তরেও যদি কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।