কলকাতা: ফের বিতর্কে স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal Central School Service Commission)। যোগ্য হিসেবে চাকরি পেয়েও কমিশন প্রকাশিত অযোগ্যদের তালিকায় নাম উঠেছে নবম-দশমের অনেক শিক্ষকের (Teachers)। এতে সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে সাতজন শিক্ষক মামলা করলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশেই ভুল প্রশ্নের উত্তরে বাড়তি এক নম্বর পেয়ে ওই মামলাকারীরা চাকরি পেয়েছেন।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে ওই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তও (CBI Investigation) চলছে। ইতিমধ্যে এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত একাধিক শিক্ষাকর্তা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন। সিবিআই তদন্তে ধরা পড়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিটেও কারচুপি করা হয়েছে। এমনও দেখা গিয়েছে, শূন্য পাওয়া প্রার্থীরা ওএমআর শিটে ৪৩ পেয়ে গিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কমিশনকে নির্দেশ দেয়, কারচুপি করে চাকরি পাওয়া নবম-দশমের ৯৫২ জনের ওএমআর শিট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ মেনে কমিশন সেই শিটের তালিকা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: School Educatin Departmen: সামশেরগঞ্জে স্কুলশিক্ষা দফতরের এসআইকে হেনস্তার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এই মামলাকারী সাত শিক্ষকের দাবি, আদালতের নির্দেশে ভুল প্রশ্নের মামলায় তাঁরা বাড়তি এক নম্বর করে পান। ২০১৮ সালে তাঁরা চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে রয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ, কমিশন সেই সব তথ্য সিবিআইকে দেয়নি। তার ফলেই তাঁদের হেনস্তা হতে হচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এরকম ঘটনা আরও অনেক শিক্ষকের ক্ষেত্রে ঘটেছে। এলাকায় তাঁদেরও মর্যাদাহানি হচ্ছে। আগামিদিনে আরও মামলা হতে পারে। আদালত সূত্রের খবর, আগামী ১১ জানুয়ারি বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।