কলকাতা: আইএসএফ (ISF) কর্মীদের অবরোধকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধল কলকাতার ধর্মতলা (Dharmatala) চত্বরে। শনিবার দুপুরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইএসএফ কর্মীদের। জল কামান ব্যবহার করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েও আইএসএফ কর্মীদের নিরস্ত করা যাচ্ছিল না। ঘটনায় একাধিক ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সহ ১৯ জন পুলিশ (Police) কর্মী জখম হয়েছেন। জখম হয়েছে আইএসএফ কর্মীরাও। বিকেলে অবশ্য পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (Naosad Siddiqi) সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ডিসি সেন্ট্রাল (মধ্য) রূপেশ কুমার, ডিসি সাউথ (দক্ষিণ) আকাশ মাঘারিয়া, বউবাজার থানার ওসি দেবজিত ভট্টাচার্য জখম হয়েছেন। তাঁর সবাই ভর্তি রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও এসএসকেএম হাসপাতালে। সন্ধ্যায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) বিনীত গোয়েল Vineet Goyel)।
আরও পড়ুন: Bhangar Bomb Recovery: ভাঙড়ে উদ্ধার ১১টি তাজা বোমা ও সরঞ্জাম
ধৃতদের সবাইকে রাখা হয়েছে লালবাজার (Lalbazar) সেন্ট্রাল লকআপে। ধর্মতলা কাণ্ডে পুলিশের প্রচুর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং পুলিশ কর্মীদের মারধর করার দায়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে ভাঙড়ে (Bhangor) তৃণমূলকর্মীদের (TMC) সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের গণ্ডগোল হয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) সহযোগীরা আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা করেছে বলে তারা অভিযোগ তোলে। এরপরই প্রতিবাদে ধর্মতলা্য় এসে হাজির হয় তারা। দুপুরে আচমকাই ধর্মতলায় অবরোধ করে। প্রথমে তাঁদের বোঝানো হলেও তাঁরা সেখান থেকে সরে যায়নি। এরপর পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠে। ঘটনায় পথচলতি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।