কলকাতা: একটা বিরাট বড় কালো দাগ ( Black spot) । তবে দাগটি স্থির নয়, ক্রমাগত সে তার স্থান পরিবর্তন করে চলেছে। সূর্যের গায়ে এই কালো দাগ কোথা থেকে এল, তা নিয়ে কৌতূহল মিটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা । তাঁরা এই কালো দাগটির নাম দিয়েছেন এআর ৩১৯০। বিজ্ঞানীদের মন্তব্য, সূর্যের গায়ে যেসব গ্যাসীয় উপাদান রয়েছ, তা আসলে বৈদ্যুতিন শক্তিসম্পন্ন। গ্যাসীয় উপাদানগুলি স্থির নয়। সেগুলি সারাক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে।
আরও পড়ুন: BBC Documentary: বিবিসির করা একটি ডকুমেন্টারির শেয়ার বন্ধ করতে বলল কেন্দ্র
সূর্যপৃষ্ঠে এই কালো দাগ ( Black spot) দেখা গিয়েছে তামিলনাড়ুর কোদাইকালান সৌর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে। এই দাগ মহাকাশবিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের(Astronomers) মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সূর্যের গায়ে যে সব দাগ দেখা গিয়েছে, এই দাগটি তাদের মধ্যে সব থেকে বড়।
মহাকাশবিজ্ঞানী দিব্যেন্দু নন্দী জানান, সানস্পটটি ( Sunspots) দেখার জন্য কোনও টেলিস্কোপ (Telescope) বা দূরবীনের প্রয়োজন নেই। তবে সূর্যাস্তের সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ওই সময়ে কালো স্পটটি চোখের ক্ষতি করতে পারে। কলকাতার আইআইএসইআর-এর সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্সস ইন্ডিয়ার গবেষক ছাত্র চিত্রদীপ সাহা ১৫ জানুয়ারি( January) থেকে সূর্যের গায়ে ওই বিশাল দাগটিকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। তিনি জানান, এই দাগটির ব্যাসার্ধ ৫৩,০০০ কিমি থেকে ৫৫,০০০ কিমি পর্যন্ত। দাগটির আকার ১৫ জানুয়ারিতে ছিল ৫১০ ইউনিট (১ ইউনিট = ৩ মিলিয়ন বর্গ কিমি)। ১৯ জানুয়ারি তা বেড়ে ৯০০ ইউনিটে দাঁড়ায় ।
নাসার (NASA) সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি ওই দাগ নিয়ে একটি সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, সূর্যের ওই অস্থির দাগটি থেকে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। দিব্যেন্দু নন্দী আরও বলেন, কালো দাগটি এখন ক্ষয়ের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এটির বিস্ফোরণ ঘটলে পৃথিবীর বুকে একটা বড় ধরনের সৌরঝড় আছড়ে পড়ার আস আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝড়ের ফলে উপগ্রহের ক্ষতি হতে পারে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সংযোগও(Internet connection) বিচ্ছিন্ন হতে পারে।