বহরমপুর: রানিনগরের (Raninagar) তৃণমূল (TMC) শিক্ষক নেতার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন। ধৃতদের মধ্যে সফিউর রহমান (Safiur Rahaman) রানিনগরের লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল সদস্য বলে জানিয়েছে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ (Police)।
পুলিশ সুত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সফিউরের ভাই ফিরোজ শেখকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দুজনের বাড়ি লোচনপুর পঞ্চায়েতের নওদাপাড়ার মোহনপুরে। পাশাপাশি ওই খুনের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার নাম হান্নান শেখ। সে ইসলামপুরের বাসিন্দা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এই খুনের কারণ কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দলীয় স্তরেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেন জানান, সফিউরকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে এখন কংগ্রেস করে।
আরও পড়ুন: Earth Rotation: উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! কী হবে তাহলে?
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফ শেখ মোটর বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাটি ঘটে লালবাগের গৌরীবাগ আজিমসরা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, পিছন থেকে একাধিক দুষ্কৃতী আলতাফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রত্তাক্ত অবস্থায় বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আলতাফ। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। পরে অবস্থা খারাপ হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার ভোরে আলতাফ মারা যান।
আলতাফ হোসেন ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তখন তিনি সিপিএম করতেন। পরে কংগ্রেস হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ২০১৫ সালে। এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। সম্প্রতি লোচনপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একাংশই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে আলতাফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি নতুন প্রধান নির্বাচিত হন। ওই ঘটনার সঙ্গে আলতাফ খুনের কোনও যোগ আছে কি না, পুলিশ তারও তদন্ত শুরু করেছে।