কলকাতা: আইএসআফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddiki) সহ ২১ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল বুধবার। আগামী বুধবার পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নওশাদ এবং অন্য আইএসএফ সমর্থকদের আইনজীবী জানান, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। মঙ্গলবারই কলকাতার ভারত সভা হলে নওশাদের মুক্তির দাবিতে এক গণ কনভেনশন ডেকেছিল আইএসএফ (ISF)। ওই কনভেনশনে বিজেপি (BJP) এবং তৃণমূল (TMC) ছাড়া প্রায় সব দলেরই প্রতিনিধি হাজির ছিলেন, ছিলেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরাও। সেখানে বক্তারা বলেন, বুধবার নওশাদদের মুক্তি না মিললে সারা বাংলা অচল করে দেওয় হবে আন্দোলনের মাধ্যমে।
গত মাসেই ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আইএসএফ নেতা-কর্মীদের। তার আগে ভাঙড়ে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে নওশাদদের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ আইএসএফের। পরে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলা অভিযান ঘিরেও উত্তেজনা ছড়ায়। আইএসএফের বহু কর্মী সমর্থক ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করেন। তা তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। হামলা হয় লোহার রড, বাঁশ ইত্যাদি নিয়েও। পাল্টা পুলিশও লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালায়। ওই হামলায় হেয়ার স্ট্রিট থানার দুই অফিসার সহ ১৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। আইএসএফেরও বেশ কয়েক জন আহত হন। পরে নওশাদ সহ ২১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।
আরও পড়ুন: Rajarhat Case: রাজারহাটে যুবা খুন,সিআইডিকে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ফের নওশাদদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। গত মাসে নোশাদদের গ্রেফতারের পরই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা কলকাতা অচল করে দেওয়া হুমকি দেন। পীরজাদাদের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতের নওশাদদের মারধর করা হয়েছে। এর শেষ দেখে ছাড়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় আইএসএফ।