কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে ডাকবাংলো মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্যের (Vice Chancellor) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার পাল্টা প্রেস বিবৃতি দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাকে ঘিরে বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের নজিরবিহীন সংঘাত তৈরি হল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। বিশ্বভারতীর ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) কান দিয়ে দেখেন। চোখ দিয়ে শোনেন। ওনার লোকজন যা শেখায় উনি তাই বলেন। সঠিক মন্তব্য করেন না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক (Ashramik) সুপ্রিয় ঠাকুরও (Supriyo Thakur) তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির সামনে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী আবাসিকদের বাড়ির সামনে পাঁচিল তুলছে। সেই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বলেছে, ২০১৭ সালে ওঁর দলের লোকেরা বিশ্বভারতীর পাঁচিল ও মূল গেটের ফটক ভেঙে দেয়। সেগুলো কি উনি জানেন না? বিশ্বভারতীর মান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাল্টা বিশ্বভারতী বক্তব্য, আপনার রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (Universities) ঠিকঠাক চলছে তো? ভেবে দেখবেন। কারণ, আপনার মনোনীত মন্ত্রী ও উপাচার্য এখন জেলবন্দি।
আরও পড়ুন: Mamata-Anubrata: কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বীরভূম সামলাবেন তিনিই, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পাশাপাশি বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রী সাসপেন্ড, বিশ্বভারতীর অধ্যাপককে বহিষ্কার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ব্যাপারে বিশ্বভারতীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি না জেনে ভুল মন্তব্য করেছেন। এদিন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক (Public Relation Officer) মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্বভারতীকে নিয়ে আপনার ভাবার দরকার নেই। তার জন্য বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী আছেন।
গত বেশ কিছু দিন ধরে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে টানাপোড়েন চলছে। অমর্ত্য সেন এবং উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী পারস্পরিক চাপানউতোরেও জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি সেই জমি ফেরত চেয়ে অমর্ত্যকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী। তা নিয়ে চলে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়ান। বোলপুরে গিয়ে তিনি জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র তুলে দেন অমর্ত্য সেনের হাতে। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠকেও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নজিরবিহীন আক্রমণ নেমে এল বিশ্বভারতীর তরফে।
 উপাচার্যের (Vice Chancellor) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার পাল্টা প্রেস বিবৃতি দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাকে ঘিরে বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের নজিরবিহীন সংঘাত তৈরি হল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। বিশ্বভারতীর ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) কান দিয়ে দেখেন। চোখ দিয়ে শোনেন। ওনার লোকজন যা শেখায় উনি তাই বলেন। সঠিক মন্তব্য করেন না।){kind=link}