বাঁকুড়া: ভাবাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। একদিনেই ২৭ জন শিশু ভর্তি হল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ (Bankura Medical College) হাসপাতালে। কোভিডের (Covid 19) পর এবার নয়া আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৪ জন শিশু। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি রয়েছে শিশু। এরমধ্যে পিকু (Pediatric Intensive Care Unit) ওয়ার্ডে রয়েছে ১০ জন শিশু। তবে পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বেশ ভাবিয়ে তুলেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বহির্বিভাগেও শিশু ওয়ার্ডে একই উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাড়চে ভিড়। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছে বাঁকুড়া জুড়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। শিশু বিভাগের দল সতর্ক রয়েছে। শিশুদের এই উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসার কথা বলছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশুরা আসছে। সব থেকে কম বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ গুলি একটু বেশী দেখা যাচ্ছে। চাপ এবং ভীড় বাড়ছে। উপসর্গ দেখে শিশুদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনPanchayet Recruitment Scam: ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, এবার পঞ্চায়েতে
অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ
১) ৩ দিনের বেশি জ্বর
২) সর্দি-কাশি, নাক ও গলা ব্যথা
৩) পেট খারাপ এবং বমির মতো সমস্যা, গা-হাত পায়ে ব্যথা
৪) শ্বাসকষ্টের সমস্যা
৫) শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি দ্রুত বেড়ে যাওয়া
৬) অতীতে কিংবা এখন বাড়ির অন্য কারও এই উপসর্গ আছে কী না
কখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে?
১) তিন থেকে পাঁচ দিন টানা জ্বর
২) শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি দ্রুত বেড়ে গেলে
৩) শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি
৪) অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম
৫) খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া
৬) প্রস্রাব দিনে পাঁচ বারের কম হলে
৭) খিঁচুনি, হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা, কিডনি কাজ না করলে
রোগী বাড়িতে থাকলে কী করতে হবে?
১) পরিমাণমতো জলপান এবং খাবার খাওয়া
২) ডায়েরিয়া হলে ওআরএস খাওয়ানো
৩) নিয়মিত দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা
৪) খাওয়া এবং প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা মনিটর করা
প্রাথমিকভাবে কী ওষুধ দিতে হবে?
১) প্যারাসিটামল (দিনে পাঁচ বারের বেশি নয়, দুই ডোজের মধ্যে অন্তত চার ঘণ্টার ব্যবধান)
২) স্যালাই, ন্যাজাল ড্রপ
৩) বমি বেশি হলে ডম্পেরিডন অথবা অন্ডান সেট্রোন
৪) প্রয়োজনে টেপিড স্পঞ্জিং করতে হবে অর্থাৎ সেঁক দিতে হবে।
বিপদের ঝুঁকি বেশি থাকলে তা বিস্তারিত জানাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।