বেলুড়: রবিবার সকাল থেকে বেলুড় মঠে (Belur Math) শুরু হয়েছে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) জন্ম মহোৎসব (Public Celebration) পালন। বেলুড় মঠের রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথির পরের রবিবার এই উৎসব পালিত হয়। এবছর গত মঙ্গলবার ঠাকুরের ১৮৮-তম জন্মতিথি পালন হয়েছে। আর আজ, রবিবার জন্ম মহোৎসব পালিত হচ্ছে।
রামকৃষ্ণদেব বলতেন, ভক্তের জন্যই ভগবান। শুধু সাধন-ভজন নয়, ভক্তের সঙ্গে ভগবানের মিলনও আবশ্যক। এমনিতেই নানা সংসারী এবং মানসিক যন্ত্রণায় সদা ক্লিষ্ট থাকে ভক্তরা। বছরে একটা দিন মঠে যাতে সেই ভক্তদের মনোরঞ্জনের জন্য যদি কিছু আয়োজন করা যায়, এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সারদামণি। আর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের সবথেকে বড় উৎসব ঠাকুরের জন্মতিথির পরের রবিবার শুরু করেন মিলন উৎসব। যা জন্ম মহোৎসব নামে পরিচিত।
দূরদূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন এই উৎসবে অংশ নিতে। ভোরবেলায় ঠাকুরের মন্দিরে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকাল ৮ থেকে মূল মন্দিরের পাশে নির্মিত অস্থায়ী সভামণ্ডপে শুরু হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, ভজন, পদাবলী কীর্তন ইত্যাদি। কিন্তু আজ মঠের সবথেকে বড় আকর্ষণ সর্বজনীন মেলা। মঠের ভিতরে প্রাঙ্গণে বসে এই মেলা। হরেক পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মানুষ কেনাকাটা করেন, অনুষ্ঠান দেখেন, মহারাজদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিশেষে ভোগ খেয়ে স্বগৃহে ফিরে যান।
এই মেলা শেষে আগে অন্যতম আকর্ষণ ছিল আতসবাজি প্রদর্শন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তা পরিবেশের কারণে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন অন্তত ৫০ হাজার মানুষের জন্য ভোগের আয়োজন করেছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। করোনাকাল পেরিয়ে প্রায় তিন বছর পর বেলুড় মঠের সবথেকে বড় অনুষ্ঠান জন্ম মহোৎসব বা মিলন উৎসবে মেতে উঠেছে বেলুড় মঠ।