কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) বন্ধ হচ্ছে না কোনও সরকারি স্কুল (School)। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে (TMC Bhavan) বসে একথা স্পষ্ট জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, বাংলায় কোনও স্কুল বন্ধ হচ্ছে না। এমন কোনও নির্দেশিকা শিক্ষা দফতর থেকে জারি করা হয়নি। এর পুরোটাই গুজব।
বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ঘুরে বেড়াচ্ছে যে, রাজ্যে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল মিলিয়ে মোট ৮,২০৭ স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। এমনটাই নাকি শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা। তাতে জেলা ভিত্তিক স্কুল বন্ধ হওয়ার তালিকায় দেওয়া রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী ৬৬৪৯ টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হওয়ার তালিকায় রয়েছে। বাকিগুলি হাইস্কুল। ওই নির্দেশিকায় এমনও বলা হয়েছে, যে সমস্ত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ এরও কম, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Period Leave | অনলাইন সংস্থা জুপি মহিলা কর্মচারীদের ঋতুকালীন ছুটি চালু করছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ওই নির্দেশকা ঘিরে রাজ্যে জোর আলোড়ন পড়ে। বিরোধীরা এটিকে ইস্যু করে আন্দোলনেও নামে। সোমবারই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের (SFI) এক প্রতিনিধিদল বিধানসভা ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাম ছাত্রদেরও মন্ত্রী জানান, এমন কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেয়নি। এমন কোনও নির্দেশিকাও শিক্ষা দফতর ও জানায়নি। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠিকেও শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কোনও স্কুল বন্ধ হচ্ছে না।
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। বদলি সংক্রন্ত একটি মামলা সূত্রে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কিছুদিন আগেই মন্তব্য করেছিলেন, গ্রাম থেকে যে হরে শিক্ষক শিক্ষিকারা বদলি নিয়ে শহরের চলে আসছে, তাতে গ্রামের স্কুল গুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এভাবে বদলির হিড়িক চললে গ্রামের বহু স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। বিচারপতির পরামর্শ ছিল, যে সব স্কুলে ছাত্র কম, শিক্ষক বেশি সে সব স্কুল থেকে অন্য স্কুলে শিক্ষকদের পাঠিয়ে দিতে হবে। আবার একই ভাবে পড়ুয়া বেশি অথচ শিক্ষক কম সেক্ষেত্রেও পরিবর্ত ব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি নীতি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এখানেও নানা দুর্নীতির অভিযোগের কথা আদালতের গোচরে এসেছে। সেই কারণেই আদালত আপাতত ওই পোর্টালের মাধ্যমে বদলি বন্ধ রেখেছে।