চেন্নাই: চার বছর পর ঘরের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হেরেছে ভারত (Team India)। তা নিয়ে হতাশার মধ্যেই বড়সড় বিতর্কের সৃষ্টি হল অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মন্তব্যে। ম্যাচের পর রোহিত বলেন, খেলোয়াড়দের মালিক এখন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা (Franchise), তারাই শেষ কথা বলবে। কেন এমন বললেন ভারত অধিনায়ক?
অতিমাত্রায় ক্রিকেটের ফলে বর্তমানে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচি তো আছেই, সেই সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে আইপিএলের (IPL) মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টুর্নামেন্ট। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার বিনিময়ে তারকা ক্রিকেটারদের দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরা, তাই তাদের হয়ে ১০০ শতাংশ দিতে দায়বদ্ধ ক্রিকেটাররা। নাগাড়ে ক্রিকেট খেলার জন্য জশপ্রীত বুমরা (Jashprit Bumrah), শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) মতো একাধিক ক্রিকেটার চোট পেয়ে দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Talk on facts | Rohit-Virat | নতুন রেকর্ডের অপেক্ষায় রোহিত শর্মা বিরাট কোহলির জুটি
ক্রিকেটারদের এই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল রোহিতকে। তিনি সাফ বলে দেন, সবকিছু ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপর নির্ভর করছে। ওরাই এখন ক্রিকেটারদের মালিক! আমরা কিছু দলকে বার্তা পাঠিয়েছি ঠিকই। কিন্তু দিনের শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ইচ্ছেই শেষ কথা বলবে! সবচেয়ে বড় কথা, ক্রিকেটারদের উপরেই এটা নির্ভর করছে। প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের শরীরের খেয়াল সবাইকে রাখতে হবে। যদি মনে হয় খুব বেশি খেলা হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে দলের সঙ্গে কথা বলে দু’-একটা ম্যাচে বিরতি নিতে পারে। তবে এমনটা আদৌ হবে কি না সন্দেহ!
অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ (CWC 2023)। তার আগে ভারতের সামনে ঠাসা ক্রীড়াসূচি। ৩১ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএল যা শেষ হবে ১ জুন। ৭ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (WTC Final) খেলতে ইংল্যান্ডে যাবেন রোহিতরা। সেখান থেকে ক্যারিবিয়ান সফর, তারপরেই আবার এশিয়া কাপ (Asia Cup) রয়েছে। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে আরও একদফা ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে ভারত। এই পরিমাণ ক্রিকেটের ধকল সহ্য করে ক’জন শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য সুস্থ থাকতে পারবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny) চাইছেন, বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মার মতো সিনিয়ররা জাতীয় দলের স্বার্থে গোটা আইপিএলে না খেলুক। কিন্তু রোহিতের কথাতেই স্পষ্ট, তা হওয়ার জো নেই। কোন ক্রিকেটার ক’টা ম্যাচ খেলবে তা ঠিক করে দেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই। জাতীয় দলের স্বার্থের চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে আইপিএল, বিষয়টি কিন্তু যথেষ্ট বিতর্কের উদ্রেক করেছে।