চেন্নাই: অধিনায়কত্বের (Captaincy) দায়িত্ব কি বোঝা হয়ে পড়ছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) উপর? বুধবার নেতা হিসেবে প্রথম ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছেন তিনি। অর্থাৎ সাফল্যের বিচারে কিছু বলার নেই। কিন্তু চেন্নাইয়ের (Chennai) মাঠে গতকাল পাঁচবার মেজাজ হারাতে দেখা গেল তাঁকে যা স্বভাববিরুদ্ধ। একারণেই প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের চাপ কি বেশিই অনুভব করছেন রোহিত?
চেন্নাইয়ের মাঠে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। শুরুতেই আউটফিল্ডে সহজ ক্যাচ ফস্কান শুভমান গিল (Shubman Gill)। তখনই প্রথমবার বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। অবশ্য বিরক্ত হওয়া স্বাভাবিক। দুরন্ত ফর্মে থাকা মিচেল মার্শের (Mitchell Marsh) ক্যাচ মিস করেছিলেন গিল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, একা কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Yadav) উপরেই দু’ বার খেপলেন রোহিত।
আরও পড়ুন: Rohit Sharma | ক্রিকেটারদের মালিক ফ্র্যাঞ্চাইজিরা, ওরাই শেষ কথা বলবে! বিস্ফোরক মন্তব্য রোহিত শর্মার
বুধবার ভালো বোলিং করেছিলেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ। আউট করেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner), মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) এবং অ্যালেক্স ক্যারিকে (Alex Carey)। ক্যারিকে যে বলটায় আউট করলেন তা কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে (Shane Warne) মনে পড়িয়ে দেয়। তবে ডিআরএস (DRS) নেওয়ার ক্ষেত্রে গোলমাল করে ফেলেছিলেন কুলদীপ। তাঁর গুগলি ক্যারির পায়ে লাগলে আউটের জোরালো আবেদন ওঠে। উইকেটকিপার থেকে অধিনায়ক ডিআরএস নেওয়াতে আগ্রহ দেখালেও কুলদীপকে আগ্রহী দেখায়নি। সে কারণেই রোহিত আর রিভিউ (Review) নেননি। একটু পরেই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে আউট হতেন অজি ব্যাটার। সেটা দেখেই মাথা গরম হয়ে যায় রোহিতের।
এরপর আবার একটি এলবিডব্লুর আবেদন ওঠে। এবারও বোলার সেই কুলদীপ। এবার রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি অতি-উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু রোহিত, রাহুলদের মনে হয়েছিল, পায়ে লেগেছে অফস্টাম্পের বাইরে। কিন্তু কুলদীপের জেদাজেদিতে রিভিউ নিতে হয় এবং তা নষ্ট হয়। আবারও মেজাজ হারান রোহিত। বেশ চেঁচিয়ে কুলদীপের উদ্দেশে কিছু বলতে শোনা যায় তাঁকে।
এই তিনবার ছাড়া আরও দুইবার মেজাজ হারাতে দেখা যায় ভারত অধিনায়ককে। ভারতের ফিল্ডিং বুধবার খুব উঁচুদরের না হলেও কখনওই মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়া বিরাট স্কোর খাড়া করবে। তাই রোহিতের এতবার বিরক্তি অনেকটাই আশ্চর্যের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ এবং সিরিজ হারতে হয়েছে। হার হয়েছে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরেই। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ কিন্তু ভারতীয় দলের জন্য সাবধান বাণী।