জলপাইগুড়ি: আমজনতা নয়, এবার দলীয় কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক (Buluchil Baraik)। সোমবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সাঁকোয়াঝোরাতে জনসংযোগে যান মন্ত্রী। সেখানে তাঁকে ঘিরে দলের পঞ্চায়েত (Panchayet) সদস্য এবং নেতা, কর্মীদের ক্ষোভের কথা জানান।
তাঁদের অভিযোগ জমির পাট্টা, জাতিগত শংসাপত্র সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল চক্রবর্তী বলেন, বারবার আবেদন করেও জাতিগত শংসাপত্র পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। জমির পাট্টা থেকেও বঞ্চিত বহু মানুষ। পাশাপাশি এদিন পূর্ব গয়েরকাটা এলাকার বাসিন্দারা ঘর পাননি বলেও এদিন মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন এক দম্পতি।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar | সুকান্তকে রিষড়ায় ঢুকতে দিল না পুলিশ
এরপর গয়েরকাটা হাই স্কুলে আসেন মন্ত্রী। মহাবীর জয়ন্তীর ছুটি থাকলেও স্কুল খোলানো হয়। ডেকে আনা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাঁদের কাছ থেকেও মন্ত্রী অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। প্রধান শিক্ষক মন্ত্রীকে জানান, স্কুলের মিড ডে মিলের আয়োজন হয় খোলা আকাশের তলায়। বারবার ধুপগুড়ির বিডিওকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী ও সাকোয়াঝোড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল চক্রবর্তী মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, বানারহাট পৃথক ব্লক হলেও বিভিন্ন সুযোগচ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত গয়েরকাটা।