নয়াদিল্লি: ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা (COVID-19) সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মাসেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। যা রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তবে রবিবারের তুলনায় সোমবার দেশে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫ হাজার ৬৭৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৮৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ২১ জনের।
সংক্রমণ ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সুস্থতার হারও বেশি রয়েছে। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার রয়েছে ৯৮.৭৩ শতাংশ। আর মৃত্যু হার ১.১৯ শতাংশ। এদিকে এই মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল শনিবার। সেদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৫৫। এখন সেই গ্রাফ আবার নিম্নমুখী। দিল্লি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিল্লিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৪ জন। সেখানে কোভিড সক্রিয়তার হর ২৬.৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন:Weather Update | আরও বাড়বে গরম, জানুন স্বস্তির বৃষ্টি কবে?
ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মাঝেই কেন্দ্রের তরফে নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার ফের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির কোভিড প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গতকাল বিভিন্ন হাসপাতালে মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মক ড্রিলেরও আয়োজন করা হয়েছিল। এই মহড়া পর্যবেক্ষণ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)।
এদিকে গত সপ্তাহেই কোভিড নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। সেদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক চিকিৎসকও। সেদিন মনসুখ মাণ্ডবিয়া সমস্ত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সচেতন থাকতে বলেন এবং স্বাস্থ্য পরিসেবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। তিনি এই মকড্রিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতো সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলিতে মকড্রিলের বন্দোবস্ত করা হয়। আজও দেশের বেশ কিছু হাসপাতালে মক ড্রিল রয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের ৩১ টি সরকারি হাসপাতালে মক ড্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।