Wednesday, June 11, 2025
Homeজেলার খবরBangla Bandh | অবমাননার প্রতিবাদে সোমবার বাংলা বনধের ডাক আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের 

Bangla Bandh | অবমাননার প্রতিবাদে সোমবার বাংলা বনধের ডাক আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের 

Follow Us :

বাঁকুড়া: আগামী সোমবার, ১৭ এপ্রিল বাংলা বনধের (Bangla Bandh) ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান (Adibasi Sengel Aviyan) । আদিবাসীদের অবমাননার প্রতিবাদেই মূলত নববর্ষের শুরুতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে বলে সংগঠন জানিয়েছে। সংগঠনের বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ টুডু বলেন, রাজ্য সরকার (State Government) বারবার আদিবাসীদের বারবার অপমান করছে। একের পর এক ঘটনায় আদিবাসীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। কিছুদিন আগে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতির চেহারা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলেন। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসীদের বহিরাগত বললেন। মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের মাতাল বললেন। আদিবাসী তিন মহিলাকে দণ্ডী খাটানো হল। এর থেকেই বোঝা যায়, এই সরকার আদিবাসী বিরোধী। 

বনধের সমর্থনে প্রকাশিত এক প্রচারপত্রে সংগঠন লিখেছে, যে সরকার নিজেদের মা-মাটি-মানুষের (Maa Maati Manush) সরকার বলে দাবি করে, আজ তারাই আদিবাসী মায়েদের লাঞ্ছিত, অপমানিত এবং বঞ্চিত করে চলেছে। এই সরকার আদিবাসীদের মাটি কাড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান সরকারের এই আদিবাসী বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছে। এই কারণেই বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠন জানিয়েছে, বেশ কয়েক দফা দাবিতে তাদের এই বনধের ডাক। প্রথমত, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডী কাটানোর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় পিয়ারীলাল টি কোম্পানির কর্মহীন আদিবাসী শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে। তৃতীয়ত, চোপড়া থানার আইসির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের অভিযোগ, ওই আইসি আদিবাসীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। যদিও এ ব্যাপারে আইসির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চতুর্থত, রাজ্য সরকার অ-আদিবাসীদের যে ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেট দিয়েছে, তা বাতিল করতে হবে। কুড়মি-মাহাতদের এসটিভুক্ত করা চলবে না। পঞ্চমত, সাঁওতালি শিক্ষা ব্যবস্থার সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। ষষ্ঠত, আদিবাসীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না। 

আরও পড়ুন: Bengal Raj Bhavan | রাজভবনে ঢুকতে গিয়ে নববর্ষে এপ্রিল ফুল দর্শনার্থীরা 

সম্প্রতি কুড়মি সমাজ তাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবিতে জঙ্গলমহলে রেল এবং রাস্তা রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। তার ফলে টানা চারদিন জঙ্গলমহলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপর অবশ্য সেই অবরোধ আন্দোলন উঠে যায়। কুড়মিদের একটি অংশের সঙ্গে মুখ্যসচিব আলোচনায় বসেন। কিন্তু সেই আলোচনায় সন্তুষ্ট নয় কুড়মি সমাজের ওই অংশ। আবার আদিবাসী একতা মঞ্চ নামে অন্য একটি সংগঠন কুড়মি সমাজের ওই দাবি মানতে রাজি নয়। এবার তা না মানার কথা জানাল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।

RELATED ARTICLES

Most Popular