বীরভূম : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের চারদিন আগে দল ছাড়লেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিয়াজুল হক। শুক্রবার তিনি দলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতির (District President) কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। পদ ছাড়ার পাশাপাশি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দলও ছাড়লেন।
রিয়াজুল হক বীরভূমের (Birbhum) বগটুই গ্রামের বাসিন্দা। বগটুই (Bagtui) কাণ্ডের পর রিয়াজুল হককে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি করে দল। রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা এলাকার বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত রিয়াজুল হক। আগামী ৯ মে বীরভূম সফরে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার চার দিন আগে দল ছাড়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধী দলের দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এমনটা ঘটেছে। তবে রিয়াজুল দাবি করেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি দলত্যাগ করলেন।
আরও পড়ুন : Opposition Conclave | মমতার প্রস্তাব মেনেই মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাটনায় বিরোধীদের মহাসম্মেলন
বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র হয়ে উঠেছে। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছে, তার সদস্যদের মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছে। কোর কমিটির এক নেতা অন্য নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশেয়ি বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না। গত কয়েক মাসে জেলার কয়েকজন তৃণমূল নেতা দল ছেড়েছেন। সম্প্রতি সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অনুব্রতহীন বীরভূমে দলের সংগঠন নিয়ে দুশ্চিন্তায় শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই অবস্থায় ৯ মে জেলায় জনসংযোগ যাত্রায় আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই রামপুরহাট ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন রিয়াজুল হক। তিনি আবার বগটুইয়ের বাসিন্দা। এই বগটুইয়ের ক্ষত এখনও মেরামত করতে পারেনি তৃণমূল। বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের কিছু লোকজন ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়েছেন। তার উপর রিয়াজুলের ইস্তফা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বগটুইয়ে তৃণমূলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।