কলকাতা: ডিএ আন্দোলনের (DA Movement) মঞ্চে বাম (Left), কংগ্রেস (Congress), বিজেপি (BJP)। শনিবার হাজরা মোড়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Sangrami Joutho Manch) সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan), সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত, এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য প্রমুখ। সেই মঞ্চ থেকে ডিএর দাবিতে আরও বড় কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য নেতারা মঞ্চকে পরামর্শ দেন।
শুভেন্দু বলেন, দরকার হলে লাগাতার কর্মবিরতি করতে হবে, তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই আন্দোলনই সরকারকে সরিয়ে দেবে। বিরোধী নেতা আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনদিনে সুপ্রিম কোর্টে ডেট পড়ে। আর ডিএ মামলা নিয়ে মাসের পর মাস শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী খেলা আছে, তা আমরা জানি। সব খেলা বন্ধ করে দেব। কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারাও চড়া সুরে আক্রমণ করেন তৃণমূল সরকারকে। রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন তাঁর এক সময়ের সর্বক্ষণের সঙ্গী সোনালি গুহ। তিনি বলেন, বাম জমানায় দিদি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি করতেন। এখন সেই দিদিই ডিএ আটকে রেখেছেন বছরের পর বছর। তিনি বলেন, তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারি কর্মচারীদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Moyna Arrest | ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
ডিএ মঞ্চে সব বিরোধী দলের সমাহারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির আঁতাঁত হয়েছে। তা আজ কলকাতায় আবার প্রমাণ হল। তিনি বলেন, আমি আগেই সাগরদিঘিতে এই অভিযোগ করেছিলাম। সাগরদিঘির ভোটের পর বিজেপি অক্সিজেন পেয়েছে। তাই রামনবমীর মিছিল ঘিরে হিংসা ছড়ানোর সুযোগ পেয়েছে ওরা। কলকাতায় তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষও এক মঞ্চে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের অবস্থান প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন।
মুর্শিদাবাদে অভিষেক বলেন, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে কখনও নরেন্দ্র মোদি কিংবা অমিত শাহের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায় না। ওঁরা কেবল তৃণমূলকে আক্রমণ করতে জানে। কলকাতায় কুণাল বলেন, আজ যে ভাষায় বিরোধী নেতারা ব্যক্তিগত স্তরে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন, তা ভাবা যায় না। আসলে ওরা তিন দল এখন এক হয়ে গিয়েছে।