আমডাঙা: ফের উত্তপ্ত আমডাঙা (Amdanga)। একদিকে গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল (TMC) নেতা। প্রায় একই সময় ঘটনাস্থলের সাত কিলোমিটারের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় জখম হন তিন জন। এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে আমডাঙা থানার পুলিশ (Police)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতার নেই। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ঘটনাই ঘটেছে রবিবার রাতে। আমডাঙার মথুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন আবু তোয়েব নামে এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাত রাত সাড়ে নটা নাগাদ সন্তোষপুর থেকে বাইক চালিয়ে ঘুরিগাছিতে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হাতে গুলি লাগে তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বারাসত থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তোয়েবকে। ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আমডাঙা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সোমবারও এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলে।
আরও পড়ুন:Kurmi Movement | অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্য, ফের আন্দোলনে আদিবাসী কুড়মি সমাজ
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তোয়েবের ভাইয়ের দাবি, গতকাল রাতে তাঁর দাদার উপর গুলি চালানোর ঘটনার পরেই এলাকায় বোমার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তাঁর অভিযোগ, দাদাকে গুলি করার আনন্দে বোমা ফাটিয়েছে অপর গোষ্ঠী। তাঁর আরও দাবি, এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জড়িত। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মোস্তাক আহমেদ মণ্ডল জানান, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করে তোয়েব। দলের কোনও পদে না থাকলেও সে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। কী কারণে কারা গুলি চালাল, তা তোয়েব ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। মোস্তাকও বলেন, এই এলাকায় বিরোধী বলে কেউ নেই। তাঁরও ইঙ্গিত দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই।
তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি ও গুলি চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করুক। আসল অপরাধী ধরা পড়বে। বিধায়ক আরও বলেন, আমডাঙা থানার প্রাক্তন আইসি এই এলাকায় কিছু অসামাজিক লোক তৈরি করে গিয়েছেন। সেই লোকেরাই এই সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে প্রাক্তন আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বেজে গিয়েছে।