বেঙ্গালুরু: বুধবার সকাল থেকে কর্নাটকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। এদিন কড়া নিরপত্তা বলয়ে রাজ্য জুড়ে চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিন ভোট দিতে দেখা গেল ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা মাইসুরু জেলার নির্বাচন কমিশনের অ্যাম্বাসাডর জাভাগল শ্রীনাথ। এদিন সকালে কুভেম্পুনগরের জনগঙ্গা স্কুলে এসে তিনি তাঁর ভোট দেন। সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে কর্নাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
পাশাপাশি এদিন দেখা গেল অন্য ছবিও। স্বাধীনতা সংগ্রামী সহ কিডনি প্রতিস্থাপন থেকে কনে সকলেই সকাল সকাল এসে নিজেদের ভোট দেন। ইরুপি জেলায় বিয়ের ঠিক কিছু মুহূর্ত আগে কনের সাজেই এসে ভোট দেন এক যুবতী। একইসঙ্গে মাত্র সাতদিন আগেই কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া এক ব্যক্তি এদিন সকালে তাঁর নিজের ভোট দান করেন। একইসঙ্গে প্রাক্তন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি ও পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সুধা মূর্তিও এদিন তাঁদের ভোট দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে নারায়ণ মূর্তি বলেন, আমরা যদি ভোট না দিই, তাহলে সরকারের সমালোচনা করার অধিকারও আমাদের নেই। রামনগর জেলায় বিদাড়ি এলাকার স্থানীয় বুথে ভোট দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জে়িএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং ছেনে নিখিল।
আরও পড়ুন: International Yoga Cup | বাংলাদেশের মাটিতে সোনা জিতলেন শিলিগুড়ির চন্দ্রা
কর্নাটক রাজ্যজুড়ে জারি কড়া নিরাপত্তা। ২২৪ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬১৫ জন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১১৩ টি আসন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাজে বিজেপির বড় পরীক্ষা। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ কোটি ৩১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪ জন। সারা রাজ্যে পোলিং স্টেশন ৫৮ হাজার ৫৪৫টি।
একদিকে, বিজেপি প্রায় চার দশকের পর ফের কর্নাটকে দখল পেতে মরিয়া। অন্যদিকে, এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটার আগে বিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে মরিয়া কংগ্রেস। আর রয়েছে জেডিএস। কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতিতে জেডিএসের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তাই ভোটার শেষে সেই পরিসংখ্যান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবারের নির্বাচনে কর্নাটকে ২০৬টি ব়্যালি, ৯০টি রোড শো করেছেন। সেখানে স্থানীয় নেতারা ২৩১টি ব়্যালি ও ৪৮ টি রোড শো করেছেন। অন্যদিকে, মোদি ৭ দিনে ১৯ সমাবেশ, ৬ রোড শো করেছে।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি টুইট কর্নাটকের জনগণের উদ্দেশে লেখেন, “রাজ্যের সুশাসন, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির” জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, “আপনার একটি ভোট জনস্বার্থ ও প্রগতি সমর্থক সরকার নিশ্চিত করতে পারে, যা রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।”