মহারাষ্ট্র: বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে উদ্ধব এবং শিন্ডে গোষ্ঠীর মধ্যে চলা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এম আর শাহ, কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলি এবং পিএস নারসিমার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছিল। আট দিন ধরে শুনানি হওয়ার পর গত ১৬ মার্চ এই মামলার রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল।
গতবছর বিজেপির সাহায্য নিয়ে শিবসেনা বিধায়কদের ভেঙে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। কিন্তু তাঁর সেই পদক্ষেপ দল বিরোধী কার্যকলাপ ছিল কিনা তার রায় দেবে শীর্ষ আদালত। শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহের সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন। কিন্তু শিন্ডে শিবিরের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্যই তারা বিধানসভায় আগেই প্রস্তাব পেশ করেছেন। যার ফলে ডেপুটি স্পিকারের কৈফিয়ত চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। এই নিয়ে ২০১৬ সালে নাবাম রেবিয়া ও ডেপুটি স্পিকারের মধ্যে চলা মামলার রায় হাতিয়ার করেছিল শিন্ডে শিবির। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, স্পিকারকে পদচ্যুত করার জন্য যদি কোনও প্রস্তাব আসে তাহলে দলত্যাগী বিধায়করা দলত্যাগী বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন কিনা সেই বিষয়ে স্পিকার কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: Karnataka Exit Polls Update | কর্নাটকে জেডিএস, কংগ্রেস, বিজেপি তিন দলেরই সরকার গঠনের দাবি
অন্যদিকে, আট দিন ধরে চলা শুনানিতে মহারাষ্ট্রে পালাবদল নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যপাল একনাথ শিন্ডেকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নাকি বিজেপিকে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এও মন্তব্য করে যে, প্রাক্তন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি যে আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন তা উদ্ধব সরকার পতনের একটি কারণ। শুনানির অষ্টম দিনে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘যদি এখন বলা হয় রাজ্যপালের ক্ষমতা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি তাহলে কী হবে? তাহলে কি উদ্ধব ঠাকরে ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন?’ এবার দেখার উদ্ধবের হাতেই কি ফের মহারাষ্ট্র যায় নাকি শিন্ডেই বসে থাকবেন কুর্সিতে।