কলকাতা: এগরা (Egra) বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় বিস্ময় প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টি এস শিভগননম (T S Sivagnanam)। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণ মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, হে ভগবান! এত ছিন্ন ভিন্ন মৃতদেহ? বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং এত মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এনআইএ তদন্ত চেয়ে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রাজ্যের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দ্রুত শুনানিরও আর্জি জানান। সেইমতোই এদিন মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ বলে দাবি করে পুলিশ। তবে বিরোধীদের দাবি, আসলে বাজি কারখানার নামে চলছিল বোমা বানানোর কাজ। এই ঘটনার পর বুধবারই এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:Niladri Sekhar Dana | পুলিশের উর্দি খোলার হুমকি দিয়ে ফের বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক
এদিকে এগরাকাণ্ডে খোঁজ মিলেছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের। ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালের তাঁর খোঁজ পেয়েছেন সিআইডি। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন ভানু। বিস্ফোরণের জেরে ভানুর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখনই তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। তবে আটক করা হয়েছে ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ-কে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের দিন ভানুর শরীরেও আঘাত লাগে। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী চম্পট দেন এলাকা থেকে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পরই বাইকে করে চম্পট দেন ভানু। পুলিশের সন্দেহ ছিল, পড়শি রাজ্য ওড়িশাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। এরপরই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে খোঁজ শুরু হয় ভানু ও বাকিদের। শেষমেশ বৃহস্পতিবার ওড়িশার কটক থেকে ভানু সহ তাঁর ছেলে ও ভাইপোকে আটক করে পুলিশ।