কলকাতা: এসএসকেএম (SSKM) ইস্যুতে নিজের অবস্থানে অনড় থেকে এবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিনি বলেন, পদত্যাগ করতে বললে করব। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ একটাই, এক মাসের মধ্যেই ভোট করতে হবে।পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বই লিখবেন বলেও জানিয়েছেন। মদন বলেন, আমি যদি বই লিখি, তাহলে তো বই মেলায় বেস্ট সেলার হবে। তা থিম স্পেন হোক বা বাংলাদেশই হোক। না না করে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা মেরে তিনি বলেন, কী দিয়েছেন আমাকে? ওই তো একটা এমএলএ। বললে ছেড়ে দেব। টিউশন করে সংসার চালাব। আমি সোনালি গুহ নই, শুভেন্দু নই। আমি মদন মিত্র।
শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি না করা নিয়ে মদন মিত্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি মাঝ রাতে হাসপাতালে হম্বিতম্বি করেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, এই ট্রমা সেন্টার কারও বাপ-দাদার নয়, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের রক্তের বিনিময়ে তৈরি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা অভিযোগ, মদন মিত্রের দলবল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করেছে। হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের হেনস্তা করা কোনও মতে বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলতে বলেছেন। মদন মিত্র এসএসকেএম হাসপাতালে দালালরাজ চলছে বলে যে অভিযোগ করেছেন, অধিকর্তা তাও খারিজ করে দেন।
পরে মদন বলেন, আমরা দলের কেউ হাসপাতালে গিয়ে ঝামেলা করেছে, সেটা দেখাক হাসপাতাল। যদি প্রমাণ করতে পারে, তা হলে সব শাস্তি মেনে নেব। শুনলাম, স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী নাকি জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে রাখি, এক স্বাস্থ্যকর্মীর চিকিৎসার জন্যই আমি এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এই কারণে যদি আমাকে শাস্তি পেতে হয়, আপত্তি নেই। বিধায়ক আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছেলেটির চিকিৎসার ব্যাপারে মিথ্যে কথা বলেছে। আমাকে শাস্তি দেওয়ার আগে তাদের সাসপেন্ড করতে হবে।
মদনের এই বিস্ফোরণে দল রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূলের চিকিৎসক সেলের দুই নেতা নির্মল মাঝি এবং শান্তনু সেন বিধায়কের বক্তব্যের প্রতিবাদ করলেও মদনের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মদনদা হাসপাতালের ব্যাপারে সকলকে আন্তরিক ভাবে সাহায্য করেন। গতকাল কী হয়েছে, তা আমি বিস্তারিত জানি না। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।