মুম্বই: আদানিদের (Adani) সত্যিই ক্লিনচিট দিয়েছে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) কমিটি? না-কি গল্পের এখনও অনেকটাই অজানা? সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটির পুরো রিপোর্ট পড়ে মনে হচ্ছে, দোষী না নির্দোষ, তা বোঝার মতো তথ্যই পায়নি কমিটি। রিপোর্টটি সমস্যাটার ব্যাপারে যত না বলেছে, তার থেকে না বলা কথাই হয়তো বেশি। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনে। এর ফলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে আদানিদের কোম্পানিগুলির শেয়ার দর পড়ে যায় রকেট গতিতে।
মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে চলতি বছরের ২ মার্চ ছয় সদস্যের কমিটি গড়ে আদালত। নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভয় মনোহর সপ্রে। সদস্যরা হলেন বোম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দাভাদার, স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পি ভট্ট, ইনফোসিস-এর প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকনি। ইনফোসিস ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে ভি কামাথ ও আইনজীবী সোমশেখরণ সুন্দরেশন। ৬ মে কমিটির রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ে, ১৯ মে রিপোর্টের কপি পান আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ব্রিজভূষণকে গ্রেফতারের দাবি রামদেবের! কুস্তিগিরদের পাশে কৃষকরাও
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৩টি বিদেশি সংস্থার ৪২টি বিনিয়োগ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির সন্দেহ আছে। কিন্তু সেসব বিনিয়োগে অন্যায় হয়েছে কি-না তা জানাতে পারেনি সেবি। কেন? আগে বিদেশি সংস্থা এদেশের শেয়ার বিনিয়োগ করলে সেই বিনিয়োগের সব তথ্য সেবিকে জানাতে হত। কিন্তু কোনও অজানা কারণে ২০১৮ থেকে সেই বিধি প্রত্যাহার করে সেবি। তাই ২০১৮ থেকে যত বিদেশি সংস্থার বিনিয়োগ এদেশের শেয়ারে হয়েছে, তার উৎপত্তি কোথায়, এমনকী কোন বেআইনি বিশাল অঙ্কের টাকা এ দেশে ঢুকছে কি-না, এমন কোনও তথ্যই রাখেনি সেবি। এ বিষয়ে নানা অভিযোগের সামনে পড়ে ২০২০ সালে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে, কিন্তু নিজেদেরই গড়া ফাঁদে পড়ে তারা শূন্য হাতেই সুপ্রিম কোর্টের কমিটির কাছে এসেছিল। প্রশ্ন উঠছে, কেন সেবি বিদেশি বিনিয়োগের ঠিকুজি-কোষ্ঠী জানার বিধি পাল্টে দিয়েছিল? কারও চাপে? চাপের তত্ত্ব সত্যি হলে কার চাপে? রাজনৈতিক ক্ষমতার চাপে? আদানির কোন কোন কোম্পানিতে এমন বিদেশি লগ্নি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, উদাহরণ আদানি গ্রিন কোম্পানি। এসব দেখেও দেখেনি কেন সেবি? নিজের তদন্ত শেষ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও সময় চেয়েছে সেবি, সময় পেয়েছে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। বিধি বদলের নিজেদের ফান্দে পড়িয়া এখন বগা কান্দে — এখানে বগা বলতে কি সেবিকে বুঝতে হবে?
 সত্যিই ক্লিনচিট দিয়েছে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) কমিটি? না-কি গল্পের এখনও অনেকটাই অজানা? সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটির পুরো রিপোর্ট পড়ে মনে হচ্ছে, দোষী না নির্দোষ, তা বোঝার মতো তথ্যই পায়নি কমিটি। রিপোর্টটি সমস্যাটার ব্যাপারে যত না বলেছে, তার থেকে না বলা কথাই হয়তো বেশি। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনে। এর ফলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে আদানিদের কোম্পানিগুলির শেয়ার দর পড়ে যায় রকেট গতিতে। ){kind=link}