কলকাতা: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। শনিবার অভিযুক্ত তৃনমূল (TMC) কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মিঠুন ঘোষের (Mithun Ghosh) বাড়ির সামনে ধরনায় (Dharna) বসলেন প্রতারিত দুই যুবক। এই ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করে প্রতারিতরা। যতক্ষন না পর্যন্ত প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন ততক্ষন তাঁরা ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত মিঠুন ঘোষ ও তাঁর মামা উত্তম ঘোষ বেপাত্তা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কৃষি দফতরে গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থী পিছু ১১ লাখ টাকা করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ, তাঁর ভাই অনিল ঘোষ ও ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ। কিন্তু, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরি তো মেলেইনি, উলটে টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অবস্থানকারীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এর আগেও টাকা চাইতে এলে তাঁদের বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ছ’মাস ধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যরা নিখোঁজ বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন :Nadia | BJP | হাঁসখালিতে বিজেপি নেতা খুন, তদন্তে জাতীয় এসসি, এসটি কমিশন
অভিযুক্ত উত্তম ঘোষের আত্মীয়ের দাবি, উত্তম ঘোষ এই ঘটনায় যুক্ত নন। বিষয় নিয়ে শালিশী সভা করা হয়েছিল। মিঠুন সেই টাকা ফিরিয়ে দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তম ঘোষ এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি এবং রায়গঞ্জ ব্লকের তুলসীতলা সহ বেশ কিছু এলাকার চার যুবককে কৃষি দফতরের গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষের ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ। মিঠুন ঘোষ অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে ছাড়াও তিনি একটি বি এড কলেজে কর্মরত থাকায় যুবকদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। করোনা আবহে চার যুবককে অনলাইন পরীক্ষা দিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে যুবকরা চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁরা ভুয়ো নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। প্রতারিত যুবকরা মিঠুনের শরনাপন্ন হলে টাকা ফিরিয়ে দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন। টাকা দিতে দীর্ঘ টালবাহনার করেন মিঠুন। দুইবছর যাবদ তারা টাকা ফেরত না পেয়ে শনিবার মিঠুন ঘোষের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন প্রতারিত দুই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা।