কলকাতা: বন সহায়ক পদে (Bon Sahayok) ২ হাজার জনের প্যানেল বাতিলের (Panel Cancel) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। মামলার অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) । জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ত্রুটির অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীর দাবি ছিল, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। জানা গিয়েছে, সোমবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ মামলার অনুমতি দিয়েছে। গরমের ছুটির পরে হাইকোর্ট খুললে নির্দিষ্ট বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আগে এই মামলা থেকে সরে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানিয়েছিল, এই বেঞ্চ মামলাটি নিয়ে কোনও নির্দেশ দেবে না। মামলাকারীরা চাইলে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে পারেন। সোমবার সেই অনুযায়ী অন্য ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানান প্যানেলে থাকা ৫০ জন প্রার্থী।
মামলাকারীদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, পুরনো প্যানেলে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে সেখান থেকে অযোগ্যদের বার করে দেওয়া হোক। যোগ্যদের কেন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam | আমাকে বোড়ে হিসেবে ব্যবহার, মাস্টারমাইন্ড পার্থই, আদালতে দাবি অর্পিতার
২০২০ সালে বন সহায়ক পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ত্রুটির অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি ছিল, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। ওই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ ধরা পড়ে। তিনি নির্দেশ দেন, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সব প্রার্থী আবার ইন্টারভিউতে অংশ নেবেন। আগামী দুমাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পুরনো প্যানেলের প্রার্থীদের একাংশ।