হিঙ্গলগঞ্জ: কফিন বন্দি মৃতদেহ ফিরল গ্রামে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) চার দিন নিখোঁজ থাকার পর বালেশ্বরের মর্গে মৃতদেহ সনাক্ত করলো ছেলে। নাগাড়ে ফোন বেজে গেলেও তোলেনি নিখোঁজ হিঙ্গলগঞ্জের (Hingalgunje) সঞ্জয় মন্ডল (Sanjay Mondal)। তখনই মনে খারাপ কিছুর আভাস এসেছিল। পরে জানা গেল সব শেষ।
অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে নিখোঁজ সঞ্জয় মন্ডলের ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডল সোমবার ৫ জুন বালেশ্বরের গিয়েছিল। বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রুপগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলি গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। বছর আটত্রিশের সঞ্জয় মণ্ডল কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। গত ছয় মাস আগে শেষ বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে শুক্রবারে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ তিনি। বালেশ্বরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সঞ্জয়। কিন্তু প্রায় ৭২ ঘণ্টা কাটতে চললেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার আগের বুধবার শেষ কথা হয়েছিল স্ত্রী আরতি মণ্ডল ও ছেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে। তারপর তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বেজে গেলেও, মণ্ডল পরিবারে হতাশা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছিল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরবেলা বাবার মৃতদেহ সনাক্ত করলেন ছেলে। বালেশ্বরে ময়না তদন্ত হওয়ার পর বুধবার সকালে সঞ্জয় দের কফিন বন্দি মৃতদেহ হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর বাঁশতলা গ্রামে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: Karnataka | বিয়েতে আপত্তি, চলন্ত বাসে বিষপান যুগলের, বিকম ছাত্রী প্রেমিকার মৃত্যু
এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী আরতি দে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ইতিমধ্যে বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ি, হিঙ্গলগঞ্জ বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ গাজি, হাসনাবাদের এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও হাজির হয়েছেন। মৃত সঞ্জয় দের মৃতদেহ ফুল, মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী আরতিদেকে সরকারি সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। এবং এই পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হন। তারপর সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।