জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে হাতির (Elephant) তাণ্ডব। লোকালয়ে ঢুকে একের পর এক ঘরে তাণ্ডব দাঁতালের। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালালেন বাসিন্দারা। ঘরে ভাঙচুর করে, জিনিস খেয়ে চম্পট দিল হাতি। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এক যুবক তাঁর ঘরে হাতির হানার বর্ণনা দিয়েছে এইরকম, গভীর ঘুমের মাঝে কেঁপে উঠল ঘর। জানালা গ্রিল ভেঙ্গে পড়ল শরীরের উপর। চোখ খুলতেই হাতি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করতে করতে কোনওরকমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলাম। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের মাগুরমারী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গিলান্ডি সেতু সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রায় ১ টা ৩০ নাগাদ সোনাখালি জঙ্গল (Sonakhali Forest) এলাকা থেকে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে ওই এলাকায়। সেই সময় এলাকার নয়নতারা সরকারের নাতি সম্রাট সরকার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই ঘর কাঁপতে শুরু করে। হাতির শুঁড়ের আঘাতে হুড়মুড়িয়ে শরীরের উপর পড়ে যায় জানালার গ্রিল। ঘুম ভাঙতেই হাতি দেখে চিৎকার জুড়ে দেয় সম্রাট। কোনও রকমে ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে চলে যায়। ঘর ভেঙে তছনছ করে ঘরে থাকা দুই বস্তা চাল খেয়ে চলে যায় হাতিটি। তাতে ক্ষুধা মেটেনি। পাশেই থাকা এক বৃদ্ধা শুক্লাবালা রায়ের বাড়িতেও একই ভাবে তান্ডব চালায় হাতিটি।
আরও পড়ুন: Municipality Scam | পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই হানা নগোরন্নয়ন দফতরে
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় মাঝে মধ্যেই হাতি ঢুকে পড়ে। গতকাল রাতেও একই ভাবে ঢুকে পড়েছিল। বনদফতরকে ফোন করা হলেও এদিন দুপুর পর্যন্ত তারা খোঁজ নিতে আসেনি। নয়নতারা সরকার জানান, ঘর দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে।নাতিটা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে সম্রাট জানায়, প্রথমে বুঝতে পারিনি।পরে গ্রিল শরীরের উপরে পড়তেই দেখতে পাই সামনে হাতি। কোনও রকমে জীবন হাতে নিয়ে অন্য ঘরে চলে যাই। এলাকারই ক্ষতিগ্রস্ত অপর বৃদ্ধা শুক্লাবালা রায় বলেন, ঘর ভেঙে দিয়েছে। হাতি বুঝতে পেরে পালিয়ে গিয়েছিলাম। কোনও সাহায্য না পেলে ঘর ঠিক করার উপায় নেই। একাই থাকি বাড়িতে। আতঙ্কে রয়েছি।