মোতিহারি: বিহারে বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্সকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠল চিকিৎসক এবং কম্পাউন্ডারদের বিরুদ্ধে। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং চার কম্পাউন্ডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে এক কম্পাউন্ডার পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন নির্যাতিতার বৃদ্ধা মা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের মোতিহারির জানকি সেবা সদন নার্সিংহোমে কাজ করতেন ৩০ বছরের ওই যুবতী। বাড়িতে চার বছরের শিশু সন্তান এবং বৃদ্ধা মা রয়েছে তাঁর। নির্যাতিতার স্বামী আগেই মারা গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার মা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মেয়ে সন্তানকে নিয়ে তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। তাঁদের আর্থিক অনটন দেখে অভিযুক্ত চিকিৎসক জয়প্রকাশ দাস যুবতীকে কাজ দেওয়ার জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সংসার চালানোর জন্য নির্যাতিতা এবং তাঁর মা চিকিৎসকের কথায় রাজি হয়ে যান। ওই নার্সিং হোমে কাজ করা শুরু করেন যুবতী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চিনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, মৃত দুই
নির্যাতিতার মা আরও জানান, কিছু দিন হল নার্সিং হোমে কাজ করতে যেতে চাইছিলেন না মেয়ে। কারণ জানতে চাইলে যুবতী জানিয়েছিলেন, জয়প্রকাশ এবং অন্যান্যরা তাঁকে হেনস্তা করেছে। তাই সেখানে আর ফিরে যেতে চান না যুবতী। ঘটনার কয়েকদিন পর অভিযুক্ত জয়প্রকাশ এবং মনতোষ তাঁদের বাড়ি গিয়েছিল। ক্ষমাও চেয়েছিল তারা। যুবতীর মা জানান, গত ৮ অগাস্ট তাঁর মেয়ে নার্সিংহোমে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। পরে জয়প্রকাশ আমাদের জানায় যে মেয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর থেকে মেয়ের দেহ উদ্ধার করি।
ঘটনায় জয়প্রকাশ দাস এবং হাসপাতালের পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যে নার্সিংহোম সিল করে দিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতার মায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।