বহরমপুর: সুতির গোথা হাইস্কুলের নিয়োগ মামলায় এবার সিআইডির হাতে গ্রেফতার জঙ্গিপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস। সোমবার সুশীল কুমার বর্মন নামে ওই এএসআইকে বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। যদিও সুশীল নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন। এদিকে এদিনই ওই স্কুলের অনিয়মের ব্যাপারে স্কুল শিক্ষা দফতর আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে। একইসঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।
সিআইডির আইনজীবী শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে জানান,ওই স্কুলে বেনিয়মের ঘটনায় স্কুল শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মীও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সাত দিনের মধ্যে সিআইডি সংশ্লিষ্ট অনুমতি পেয়ে যাবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ নভেম্বর।
আরও পড়ুন:অনুব্রতর জামিন মামলায় সিবিআইকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, সুতির ওই বিদ্যালয়ে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে এর আগে সিআইডির গ্রেফতার করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় প্রাক্তন পরিদর্শক (উচ্চ বিদ্যালয়) পূরবী বিস্বাস দে-সহ আরও এক প্রাক্তন মহিলা করণিক ( ক্লার্ক) এবং একজন পুরুষ করনিককে। তাঁরাস সকলেই ইতিমধ্যে জামিনও পেয়েছেন। সেই সঙ্গে জামিন পেয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্ৰধান শিক্ষক আশীষ তেওয়ারীও। তবে তাঁর ছেলে অনিমেষ তেওয়ারী এখন বিচারাধীন বন্দী।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সাল থেকে ওই ভুয়ো শিক্ষক বেতন পেয়ে যাচ্ছিলেন। কী করে সেটা সম্ভব হল সেই তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে যে ওই ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে তিনজনের গাফিলতি রয়েছে। ওই ভুয়ো শিক্ষকেরা কীভাবে বেতন হচ্ছে সেটা ধরে ফেলা উচিত ছিল বহরমপুর শিক্ষা ভবনের ওই দুই কর্মীসহ ডিআই এর। সে কারণেই ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।