নয়াদিল্লি: সন্দেহভাজন এক আইসিস (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) জঙ্গি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জালে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল শাহনওয়াজ ওরফে শফি উজ্জামাকে একটি গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম রয়েছে এই আইসিস (ISIS) জঙ্গির। জঙ্গি দমন অভিযানে তার গ্রেফতারি এক বিরাট সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। রাজধানীর এক গোপন ডেরায় সে ঘাঁটি গেড়েছিল। পুলিশ জঙ্গিদের গোপন সংগঠনেরও বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শাহনওয়াজ আইসিসের পুনে মডিউল (ISIS Pune Module) মামলায় মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ দিল্লির বাসিন্দা। কিন্তু সংগঠনের কাজের জন্য পুনে চলে যায়। গত জুলাইয়ে পুনেতে এক অভিযানে তার দুই শাগরেদ ধরা পড়ে। কিন্তু, সে সময় শাহনওয়াজ পালিয়ে যায়। তারপর থেকে সে ফের দিল্লিতে ঘাঁটি গাড়ে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহ শুরুতে জানুন জ্বালানির মূল্য
এ মাসের গোড়ার দিকে এনআইএ তার খোঁজ দিতে পারলে ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তার অন্য তিন সহযোগী রিজওয়ান আবদুল হাজি আলি, আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ ওরফে ডায়াপারওয়ালা এবং তালহা লিয়াকত খানের খোঁজ শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, টেলিগ্রাম অ্যাপের (Telegram app) মাধ্যমে শাহনওয়াজ, আবদুল্লা এবং রিজওয়ান আইসিসের মতো কট্টরপন্থী দলে নাম লেখায়।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনেতে সংগঠনের কাজ করতে সেখানে দলবদ্ধ হয়। এনআইএ সূত্র জানিয়েছে, দেশে হিংসা ও সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে যুক্ত ছিল তারা। আবদুল্লার প্রকৃত পরিচয় হল, পুনেতে তার একটি ডায়াপারের দোকান ছিল। যার আড়ালে সে বিস্ফোরক যন্ত্রসামগ্রী আনা-নেওয়া করত। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সে সম্প্রতি ওমানে পালানোর ছক কষছে।
দিল্লির রিজওয়ান আলিকে ২০১৮ সালে একবার গ্রেফতার করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু, সে ও তার ভাই ছাড়া পেয়ে যায় প্রমাণের অভাবে। দুবছর পর সে পুনে চলে আসে। পরিবারকে জানায়, সেখানে সে একটি কম্পিউটার ব্যবসা শুরু করতে চলেছে। বিয়ে করে এবং সেখানেই স্ত্রী নিয়ে বসবাস শুরু করে। রিজওয়ানের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে আবার সস্ত্রীক দিল্লি ফিরে আসে। দুমাস পর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় রিজওয়ান।